বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার ফা*রাক বোঝালেন মানিক

ভোটের সময় কোথাও ছাপ্পা ভোট বা বিশৃঙ্খলতা ছিল না

শহরে এসেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা । শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কলকাতার সঙ্গে আগরতলার ফারাক কোথায়, তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন তিনি। বললেন, ‘আমি যখন বিমানবন্দর থেকে এখানে আসি, তখন দেখি একমাত্র তৃণমূলের পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা এখানে ওড়ে না। দেখে কষ্ট হয়। আমাদেরও কিছু পতাকা-ছবি লাগিয়েছে। আমি নিশ্চিত, যেতে যেতে হয়ত এগুলোও খুলে নেবে। কিন্তু আপনারা আমাদের ওখানে গিয়ে দেখবেন, আমাদের যা পতাকা আছে, তার থেকেও বেশি তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসের পতাকা পতপত করে উড়ছে। সবার পতাকা উড়ছে। আমাদের দলের তরফে কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলতা রাখিনি।’

এমনকী, বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার ফারাক বোঝাতে গিয়ে এ রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও শাসক শিবিরকে খোঁচা দিলেন মানিক সাহা। বললেন, ‘খালি মারপিট, বোমাবাজি, খুন চলে এই রাজ্যে।’ মানিক সাহার কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ মানে সবসময় আমাদের খুব কাছের জায়গা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মধ্যে একটি দূরত্ব দেখা গিয়েছে। এর মূল কারণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এখান থেকে তৃণমূল ত্রিপুরায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে।

ত্রিপুরার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সায়েন্টিফিক রিগিং হতে দেব না। ছাপ্পা ভোট ত্রিপুরায় হতে দেব না। গণতন্ত্র কাকে বলে দেখিয়ে দেব। ভোটের সময় কোথাও ছাপ্পা ভোট বা বিশৃঙ্খলতা ছিল না।

বাংলার বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ভোকাল টনিকও দিয়ে গেলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। অতীতে পরাজয়ের মুখ দেখলেও, বিজেপি যে বাংলা জয় করবেই, সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, বাংলাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার খুব দরকার। ত্রিপুরা দেখে শিখুন। ত্রিপুরা সরকার দুর্নীতি মুক্ত সরকার। এটা মানুষ চায়।’

 

Previous articleশহরের রাজপথে বামেদের মিছিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ডাক
Next article‘ডেনভারের মৃত্যুহীন গান’, উৎপল সিনহার কলম