ভাষণবাজিতেই সক্রিয় রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ফের একবার তা প্রমাণিত হল কামারহাটি পুরসভার(Kamarhati Municipalty) সমবায় নির্বাচনে। শুক্রবার নির্বাচন(Election) সম্পন্ন হয়েছিল কামারহাটি পুরসভার এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন। শনিবার এই নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল বিরোধীদের শূন্য করে তৃণমূল(TMC) সমর্থিত প্যানেলের ১২ জন প্রাথীই জয়লাভ করেছেন। তবে নির্বাচনে হারের পর চেনা সুরে শাসকদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরকর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণের রাশ কার হাতে থাকবে তা এই সমবায়ের ভোটেই অনেকটাই নির্ভর করে। প্রায় ৫০০ জন পুরসভার কর্মী ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেন। ১২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শাসক এবং বিরোধী দল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। কামারহাটির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, এই কো-অপারেটিভ ফান্ডে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আছে। সেই টাকা লুঠ করার জন্যই পরিকল্পনা করে যাঁরা ভোট দিতে এসেছেন, তাঁদের ভয় দেখানো হয়। ভোটের নামে প্রহসন করা হয়। পাশাপাশি ভোটের দিন মানস মুখোপাধ্যায়কে হেনস্থা করারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
যদিও সিপিএমের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “সমবায়ের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বলে কিছু হয় না। সবাই পুরসভার কর্মী। মারধর এবং ভোট লুঠের অভিযোগ মিথ্যা। মানস মুখোপাধ্যায় পুরকর্মী নন। তাই তিনি ভিতরে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিয়েছেন।”