সাম্প্রতিককালে, “চোরের মা” সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসনকালে একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় কারচুপি! মেধাতালিকায় কারচুপি করে কীভাবে নিজেদের পছন্দের ২,২০০ জনকে স্কুলের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার সেই তথ্য সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগে কেন্দ্র বিরোধী লড়াইয়ে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল, জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক
রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের তরফে বাম জমানায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি ফের তুলে ধরা হয়। ১৯৯৬ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার একটি নিয়োগের প্যানেল বাতিলের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। ২০১২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এই ২,২০০ জন প্ৰাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমেও তা প্রকাশিত হয়েছিল। এদিন সেই প্যানেল বাতিলের খবর প্রকাশ করে ফের বাম জমানার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূল। তারা বলছে, বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগেই সিলমোহর দিল এই ঘটনা। এই মামলার রায়েই প্রমাণ হয়ে গেল, বাম আমলে নিয়োগে বেনিয়ম হয়নি বলে সিপিএম যে দাবি করে, তা পুরোপুরি মিথ্যে।

Stop pointing your finger @CPIM_WESTBENGAL,remember other fingers are pointing towards you!
Link : https://t.co/vJdfOhfLra@MamataOfficial @abhishekaitc @WBTMCPofficial pic.twitter.com/uHsCSJhdQq
— Prantik Chakraborty (@PrantikChakra15) April 9, 2023
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী সেই সময় প্রকাশিত একটি খবর ট্যুইট করেছেন। জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় ২,২০০ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় বিচারপতি দিলীপ বসু এবং পরবর্তীকালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন নিয়োগ বাতিল করে তাঁদের নির্দেশে বলেন, এই নিয়োগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। আদালত রাজ্য সরকারকে আগের প্যানেল বাতিল করে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করারও নির্দেশ দেয়।
