সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)ভাইরাল হয় একটি ছবি। ওই ছবিতে দেখা যায়, কেওড়াতলা (Keoratala)মহাশ্মশানের একটি ফটোতে ‘লাভ’ ইমোজি দিয়ে ইংরেজিতে অক্ষরে লেখা “আই লাভ কেওড়াতলা মহাশ্মশান” । ব্যাস, আসল-নকল পরখ করার আগেই শুরু হয়ে যায় শোরগোল। যদিও পরবর্তিকালে জানা যায় এই ছবিটি ভুয়ো এবং শ্মশানে এইরকম কোনও বোর্ড লাগানো হয়নি। লালবাজার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই পোস্ট সম্পূর্ণ ভুয়ো অর্থাৎ ফেক। যে দু’জনের প্রোফাইল ব্যবহার করে কেওড়াতলা মহাশ্মশান নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় মিথ্যে পোস্ট ছড়ানো হয়েছে, ই-মেল মারফত তাঁদের নোটিশ করেছে কলকাতা পুলিশ। পুরসভার তরফে টালিগঞ্জ থানায় (Tollygunj Police Station) একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
#OriginalVsFake
A misleading morphed picture of Keoratala Maha Sashan is making rounds. The original and fake pics are kept side by side to avoid any further confusion. #WeCareWeDare@CPKolkata @KPDetectiveDept @KolkataPolice pic.twitter.com/6FLe97dJcs— DCP South Kolkata (@KPSouthDiv) April 11, 2023
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফেও জানানো হয়, “আই লাভ কেওড়াতলা মহাশ্মশান” বলে কোনও বোর্ড কখনও শ্মশানে লাগানো হয়নি। এই ঘটনায় বিরক্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুয়ো ছবি ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য যে বা যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরই এই ভুয়ো ছবির বিষয়ে টালিগঞ্জ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। গোয়েন্দা দফতরের সাইবার সেলকে টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়ার কথাও বলা হয়।
জানা গিয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে এফআইআর করা হলেই আইটি অ্যাক্টে অভিযোগ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে আসল ছবিটি ২০১১ সালে তোলা হয়েছিল। এর উপরে ওই লেখাটি সুপারইম্পোজ করা হয়। আসল ছবিটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।