পঞ্চায়েতে মহাজোট চেয়ে ফাঁদ পেতেছে RSS! নিচুতলাকে সতর্ক করল CPM

এটা আসলে তৃণমূল বিরোধী ভোট নিজেদের দিকে আনার কৌশল। সেক্ষেত্রে সিপিএমের অনেক ভোটও আরএসএস অর্থাৎ বিজেপির বাক্সে চলে যেতে পারে

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এক তৃতীয়াংশ আসনেও প্রার্থী দিতে অক্ষম বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক অবস্থা এতটাই করুণ যে ফের মাঠে নামতে হচ্ছে আরএসএসকে। বিজেপির নিচুতলা বলতে কার্যত কিছু নেই, তাই পঞ্চায়েতের আগে সুকৌশলে আরএসএস মহাজোটের প্রস্তাব নিয়ে আসছে নিচুতলায়। এমনই উদ্বেগ উঠে এসেছে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে।

সিপিএম পার্টির একাধিক জেলা কমিটির রিপোর্ট, বিজেপি নিচুতলায়।নড়বড়ে। সিংহভাগ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো জায়গায় নেই তারা, তাই আরএসএসের নিচুতলায় মহাজোটের প্রস্তাব দিচ্ছে সিপিএমকে। এটা আসলে তৃণমূল বিরোধী ভোট নিজেদের দিকে আনার কৌশল। সেক্ষেত্রে সিপিএমের অনেক ভোটও আরএসএস অর্থাৎ বিজেপির বাক্সে চলে যেতে পারে। আলিমুদ্দিনে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তার আলোচনা হয়েছে। এমন রিপোর্টে কিছুটা শঙ্কিত সিপিএম। রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছে, এখনই যদি বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়া না যায় তাহলে ভবিষ্যতে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হবে পার্টি।

আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদার মতো উত্তরের জেলাগুলি থেকে শুরু করে দক্ষিণে নদীয়া, বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মত জেলার নেতৃত্ব এমনই রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। একাধিক জেলার রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয় ও সমবায় নির্বাচনগুলিতে সিপিএম ভালো ফলাফল করেছে, কর্মসূচিতেও সাড়া মিলেছে। বিজেপিকে স্থানীয়স্তরে দেখা না গেলেও আরএসএস তলায় তলায় সক্রিয়।

দলিত ও জনজাতিদের আবেগ উসকে দিতে চাইছে আরএসএস। মন্দির থেকে শুরু করে ধর্মীয় বিষয়গুলি নিয়ে তারা মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে চাইছে। ফলে ভোটের মেরুকরণ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পরোক্ষে ফায়দা বিজেপির। আঙুল চুষতে হবে বামেদের।

রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন জেলার পেশ করা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে “নোট ভোট টু মমতা” স্লোগান উস্কে দিয়ে আসলে সিপিএমের কাছে জোটের টোপ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে আরএসএস। তাই এখনই সতর্ক থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে না পারলে বাম ভোটের যেটুকু অংশ এখনও অক্ষত রয়েছে অদূর ভবিষ্যতে সেটুকুও রামে চলে যাওয়ার প্রবল সম্ভব রয়েছে।

এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য নেতৃত্ব। মহম্মদ সেলিমদের তরফে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে “নো ভোট টু তৃণমূল” বলার পাশাপাশি “নো ভোট টু বিজেপি” স্লোগানও দিতে হবে। বরং আরও বেশি বেশি করে “নো ভোট টু মোদি”, এবং “নো ভোট টু বিজেপি” স্লোগান তুলতে হবে। নিচুতলার কর্মীরা যাতে কিছুতেই আরএসএসের ফাঁদে পা না দেয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে।

Previous articleপার্ক স্ট্রিটের বহুতলে লিফট ছিঁড়ে মৃ*ত ১,চলছে উদ্ধারকাজ
Next articleদিল্লির স্কুলে ফের বো.মাতঙ্ক! হু.মকি ইমেল পেতেই খালি করা হল বিল্ডিং