৫০ দিনেই ভেঙে চুরমার আতিকের সাম্রাজ্য! সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ কেন্দ্রের

উমেশ পাল (Umesh Paul) হত্যাকাণ্ডের ৫০ দিনও পেরল না। এরই মধ্যে আশ্চর্যজনকভাবে পতন হল আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) মাফিয়া সাম্রাজ্যের। যা নিয়ে ইতিমধ্যে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। শনিবার জেলবন্দি গ্যাংস্টার আতিক ও তার ভাই আশরফকে রুটিন মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য কেলভিন হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালের সামনে দুজনে পুলিশের ভ্যান থেকে নামতেই তাদের ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ওই সময়ই ভিড়র মধ্যে থেকে আতিকের মাথায় গুলি করে এক আততায়ী। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ভাই আশরফের বুকও। আর এমন ঘটনার পরই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা (Safety for Journalist) নিয়ে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government)। সূত্রের খবর, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য SOP বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরস (Standard তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর গাইডেন্সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত SOP ঠিক করবে।

উল্লেখ্য, উমেশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনের বিরুদ্ধেই আদালতে চলছিল মামলা। শনিবারের জোড়া হত্যাকাণ্ডে তিন আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ঝাঁসিতে উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা STF-র এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিক পুত্র আসাদের। গুলির লড়াইতে প্রাণ হারায় গুলাম নামে আরও এক শ্যুটার। নিহতদের থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে STF। উমেশ পাল খুনে এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছে বলেও দাবি করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।

এছাড়া উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের FIR-এ নাম থাকা আরও দুই অভিযুক্ত আরবাজ ও ওসমানকে গুলির লড়াইতে খতম করে উত্তর প্রদেশ STF। আরবাজ ও ওসমানের মৃত্যুর পরই ঝাঁসিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, উমেশ পাল হত্যা মামলায় পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে আতিক পত্নীরও। তবে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে সে। আতিক পত্নীর মাথার দাম ৫০ হাজার টাকা বলে ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে গ্যাংস্টার আতিকের পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ঠাঁই হয়েছে জেলে। তার দুই ছেলে আলি আহমেদ ও উমর রয়েছে নৈনি ও লখনউ সংশোধানাগারে। প্রয়াগরাজের জুভেনাইল হোমে রয়েছে গ্যাংস্টার আতিকের নাবালক দুই সন্তান।

২০০৫ সালে বহুজন সমাজ পার্টি বা BSP বিধায়ক রাজু পালকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় আতিক গ্যাংয়ের। রাজু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উমেশ পালকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীর দল। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান উমেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা উত্তর প্রদেশ পুলিশের দুই কনস্টেবল। রাজু পাল ও উমেশ পাল, এই দুই খুনের সঙ্গেই নাম জড়িয়েছিল গ্যাংস্টার আতিকের। সম্প্রতি তাকে আহমেদাবাদ থেকে প্রয়াগরাজে নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০০৬-র একটি অপহরণের মামলায় আদালতে তাকে যাবজ্জীবনের সাজাও শোনায় আদালত।

 

 

Previous articleগৃহযু.দ্ধে অ.শান্ত সুদান! এক ভারতীয়-সহ ২৭ জনের মৃ.ত্যু, জ.খম কমপক্ষে ১৫০
Next articleএকমাস ধরে ভো.গান্তি, বদলে যাচ্ছে হাওড়া বর্ধমান ট্রেন রুট!