সমকা.মিতা অপরাধ না হলে সমলি.ঙ্গের বিয়েতে কী সমস্যা? প্রশ্ন চন্দ্রচূড়ের, অবস্থান জানালেন অভিষেক

শীর্ষ আদালত এদিন প্রশ্ন তোলেন, যদি সমকামিতা অপরাধ না হয়, তা হলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে সমস্যা কোথায়?

‘‘সমকামী সম্পর্কগুলি শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক এবং স্থিতিশীল সম্পর্কও।’’ পাশাপাশি বিয়ের জন্য ভিন্ন লিঙ্গের দুই ব্যক্তির উপস্থিতি অপরিহার্য কি না তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সরাসরি প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। এদিন সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে মামলার তৃতীয় দিন শুনানির সময়ে এমনই মন্তব্য করল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এদিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, সমকামী সম্পর্ক শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদার উপর নির্ভরশীল নয়।

পাশাপাশি এদিন শীর্ষ আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন উঠে আসে ৩৭৭ ধারা প্রসঙ্গও। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মনে করিয়ে দেয়, ২০১৮ সালে ভারতীয় সংবিধান ৩৭৭ ধারাকে প্রত্যাহার করে এবং সমকামিতাকে ‘অপরাধ’-এর আওতা থেকে মুক্তি দিয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই শীর্ষ আদালত এদিন প্রশ্ন তোলেন, যদি সমকামিতা অপরাধ না হয়, তা হলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে সমস্যা কোথায়? আর এরপরই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, বিয়ে সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণাকে এবার নতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। আর দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির এমন পর্যবেক্ষণের পর রীতিমতো আশার আলো দেখছেন মামলাকারীরা। তবে এদিন সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনও আপত্তি নেই। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, সবার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ আছে। যে কেউ তাঁর ইচ্ছা মতো জীবনসঙ্গী বাছতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকেই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সমলিঙ্গের বিবাহ মামলার শুনানি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার শুনানির তৃতীয় দিনে মামলাকারীদের তরফে সওয়াল করেন, আইনজীবী তথা কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। এদিন আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের যৌনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ৩৭৭ নম্বর ধারায় সমলিঙ্গের অপরাধ বলে গন্য হত, তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

তবে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন মামলাকারীরা। প্রধানত এই মামলায় সমলিঙ্গের দম্পতির বিয়ের আইনি স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে। এখন কোনও আইনেই তাঁদের স্বামী-স্ত্রী বলে মান্যতা না দেওয়ায় সমলিঙ্গের দম্পতিরা যৌথভাবে সম্পতি কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার সহ বিমা প্রকল্প, সঞ্চয় প্রকল্পে নমিনি হওয়ার সুযোগ থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

 

 

Previous articleSCO বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন পাক বিদেশমন্ত্রী
Next articleমাত্র ৪৬ সেকেন্ডে গঙ্গা পার! সাংবাদিকদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গতিতে ছুটল মেট্রো