সেনা ট্রাকে হা.মলা চালিয়েছে পাক জ.ঙ্গিরাই! তল্লাশি অভিযানে আ.টক আরও ৪   

এছাড়াও গভীর জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মেলেনি শহিদ জওয়ানদের অস্ত্র। সেনাকর্তাদের ধারণা হামলার পর সেনার অস্ত্র নিয়ে চম্পট দেয় জঙ্গিরা।

গত ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুঞ্চে (Poonch) জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের। গুলি ছুঁড়ে হত্যার পর গ্রেনেড বিস্ফোরণে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেনার একটি ট্রাকে। ঘটনার পরই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। আগেই সন্দেহভাজন ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল। এবার নতুন করে দেগওয়ার গ্রামের দুই জোড়া যুগলকে আটক করল সেনা। তারা নিজেদের বাড়িতে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও গভীর জঙ্গলে ইতিমধ্যে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। তবে পুলিশ নিশ্চিত, শহিদ জওয়ানদের অস্ত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে আততায়ীরা।

জানা গিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সেনার তরফে ট্রাকে করে ইফতারের (Iftar) জন্য ফল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় পুঞ্চের সাঙ্গিয়োটে নামের একটি গ্রামে ইফতার পার্টি আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেনার ট্রাকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাশাপাশি আড়াল থেকে গুলি করে সেনাকর্মীদের হত্যার পর গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল ট্রাকে। এর ফলেই ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্রাকটি। ঘটনায় শহিদ হন পাঁচ জওয়ান। এদিকে ঘটনার পরেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে আটক করা হয় ১২ জনকে। আর এদিন নতুন করে আরও চারজনকে আটক করল সেনা। এরা স্থানীয় বাসিন্দা যুগল। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েই গোটা অপরেশন চালায় জঙ্গিরা।

এছাড়াও গভীর জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মেলেনি শহিদ জওয়ানদের অস্ত্র। সেনাকর্তাদের ধারণা হামলার পর সেনার অস্ত্র নিয়ে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। তবে জম্মুর অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ সিং (DGP Mukesh Singh) জানান, জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে সেনা, প্যারা মিলিটারি এবং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাতে স্পষ্ট এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয়রা কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

 

 

Previous articleশুনানির অধিকার হারিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: সুপ্রিম কোর্ট! এটাই তো বলে আসছিলাম: কুণাল
Next articleদিল্লি ও মুম্বইয়ে অ্যাপেল স্টোর উদ্বোধন! ভারতের সাফল্যের প্রশংসায় ‘পঞ্চমুখ’ পাক নাগরিকরাও