লন্ডনের জগন্নাথ মন্দিরে ২৫০ কোটি অনুদান! জানুন কে এই ভারতীয় ধনপতি

রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মন্দির নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদানের কথা জানিয়েছেন ওড়িশার শিল্পপতি (billionaire from odisha)বিশ্বনাথ পট্টনায়েক (Biswanath Patnaik)।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple)আদলে ইংল্যান্ডেও তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। লন্ডনে (London)জগন্নাথের মন্দির তৈরি করবেন প্রবাসী ওড়িয়ারাই। রবিবার অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মন্দির নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদানের কথা জানিয়েছেন ওড়িশার শিল্পপতি (billionaire from odisha)বিশ্বনাথ পট্টনায়েক (Biswanath Patnaik)। এরপর থেকেই এই শিল্পপতি শিরোনামে উঠে এসেছেন। কে এই বিশ্বনাথ পট্টনায়েক? জানুন তাঁর পরিচয়!

ধনকুবের বিশ্বনাথ পট্টনায়েক ঠিক কীসের ব্যবসা করেন? কীভাবেই বা এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হলেন তিনি? কী তাঁর আসল পরিচয়? এইরকম একগুচ্ছ প্রশ্ন এখন সবার মনে ঘোরাফেরা করছে গত কয়েকদিন ধরে। বিদেশের মাটিতে জগন্নাথ মন্দির গড়ার কাজে এর আগে কখনও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করা হয়নি আর ঠিক সেই কারণেই ওড়িশার শিল্পপতি বিশ্বনাথ পট্টনায়েককে নিয়ে এত আলোচনা। ইতিমধ্যেই ১৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে লন্ডরে পুরীর আদলে জগন্নাথের মন্দির। তাহলে কি টেমস নদীর পাড়ে পালিত হবে রথযাত্রা উৎসব? অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ব্রিটেনের শ্রী জগন্নাথ সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রথমবারের জন্য জগন্নাথ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ফিননেস্ট গ্রুপ অফ কোম্পানির(FinNest Group) চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ পটনায়েক (Biswanath Patnaik) সেখানে উপস্থিত হয়ে অনুদানের কথা জানান। তিনি জানান, ব্রিটেনের মাটিতে জগন্নাথের মন্দির তৈরি করতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর সেই কারণেই লন্ডনের প্রথম জগন্নাথ মন্দির তৈরি করতে তিনি ২৫০ কোটি টাকা ডোনেশন দেবেন। ইতিমধ্যেই লন্ডনের শহরতলী এলাকায় জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) নির্মাণের জমি ক্রয় করতে ফিননেস্ট কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৭০ কোটি টাকা ডোনেশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিল্পপতির এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে আশাবাদী ব্রিটেনের জগন্নাথ সোসাইটির চেয়ারপার্সন ড. সহদেব সোয়াইন।

কে বিশ্বনাথ পট্টনায়েক?

স্নাতকস্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ওড়িশার এই উদ্যোগপতি। তাঁর এলএলবি এবং এমবিএ ডিগ্রি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে । ব্যাঙ্কার হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছেন তিনি। উদ্যোগপতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন ২০০৯ সালে। ভারতের মাটিতে একাধিক সংস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি দুটি সংস্থা অধিগ্রহণও করেন। যার মধ্যে একজা বিএসসি-তে নথিভুক্ত, অন্যটি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন প্রাপ্ত। উদ্যোগপতি হিসাবে বিশ্বনাথের প্রোফাইলে স্বাস্থ্য পরিষেবা, ভোগ্যপণ্য, ফিনটেক, সৌরশক্তি থেকে শুরু করে স্বর্ণশোধনাগার বা দুবাইয়ে বুলিয়ন ট্রেডিংয়ের ব্যবসা সব কিছুই রয়েছে। এখানেই শেষ নয় এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বৈদ্যুতিন হাইড্রোজ়েন ট্রাক তৈরির জন্য ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেন ওড়িশার এই উদ্যোগপতি। ওড়িশায় গাড়ি তৈরির কারখানা গড়ার চিন্তা ভাবনাও রয়েছে তাঁর। তিনি একাধারে সমাজসেবীও বটে। দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা ভারতের অন্তত ৫০০ মেয়ের পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্বনাথ। ইউনেস্কোর হাত ধরে সমাজের উন্নতিতে নানা কাজ করেছেন বলে জানা যায়।

 

Previous articleকালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের, পরিবারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ পুলিশের
Next articleবাংলার টাকা বকেয়া, সেন্ট্রাল ভিস্তা হচ্ছে: আলিপুরদুয়ারে তোপ অভিষেকের, পুজো শিবমন্দিরে