Thursday, August 28, 2025

ভবিষ্যৎবাণী মিলে গেছে, কুণালকে প্রণাম: সুপ্রিম নির্দেশের পর মন্তব্য বিচারপতি গাঙ্গুলির

Date:

নিয়োগ দুর্নীতির সবকটি মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে(Abhijit Ganguly) সরানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। আইন বহির্ভূতভাবে বিচারপতির কাজের প্রক্রিয়া দেখে এমনটা যে হতে পারে সে আভাষ আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার রায় প্রকাশ্যে আসার পর কুণাল ঘোষকে(Kunal Ghosh) ‘প্রণাম’ জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Ganguly)। পাশাপাশি জানালেন, উনি ‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা’।

শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অভিষেক সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টে নিজের এজলাসে আসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি চান তিনি। তার পর কুণাল ঘোষের প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। তিনি যা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা তা আমার জানা ছিল না। তাঁর পুরো কথা মিলে গিয়েছে।” এরপরই এজলাস ছাড়েন বিচারপতি। অন্যদিকে বিচারপতির এহেন মন্তব্য শোনার পর এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “গোটা জিনিসটার মধ্যে আমি কোনও জয়-পরাজয় দেখছি না। আদালত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সব বিচারপতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু মামলার বাইরে গিয়ে উনি আমার দলনেতা নেত্রীকে আক্রমণ করছিলেন। যেটা আইনবহির্ভূত। দলের মুখপাত্র হিসাবে আমার কর্তব্যটুকু পালন করেছিল শুধু। আমি শুধু ওই অংশটুকুর প্রতিবাদ করেছি। এর বাইরে ওনার প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা রয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম বিচারপতি জানান, বিচারপতিরা কোনও ভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে। এরপরই কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের আজকের বক্তব্যের পর বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজনীতি করা। বিচার চালানোর কোনো নৈতিক অধিকার তাঁর নেই।”

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version