সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) নির্দেশ মেনেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাস থেকে প্রাথমিকের (Primary) দুটি মূল মামলার নথি চেয়ে পাঠাল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কার্যলয় থেকে নথি তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তৎপরতা কারণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে এই মামলা এবার কোন বিচারপতির হাতে যাবে সেই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
আদালত সূত্রে খবর, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে রমেশ মালিক এবং সৌমেন নন্দী সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল চাওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে সেই নথি পৌঁছে যাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কার্যলয়ে। যেহেতু প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে কে-কোন মামলা শুনবেন তার তালিকা নির্ধারণ করেন, সেই কারণে এবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিই সিদ্ধান্ত নেবেন উক্ত দু’টি মামলা কার এজলাসে যাবে। সম্ভবত মঙ্গলবারের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও না কোনও মামলা থেকে যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সরছেন তা জানা গিয়েছিল আগেই। তবে সবকটি নাকি কোনও নির্দিষ্ট মামলা থেকে সরছেন বিচারপতি তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা সামনে আসার পর জানা যায় প্রাথমিকের দু’টি মামলা থেকে সরছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ইন্টারভিউ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন বিচারপতি কী রাজনৈতিক নেতার মতো টিভিতে ইন্টারভিউ দিতে পারেন? বিচারপতিরা কোনও সময়েই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না ৷ যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তাহলে বিচারপতি মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন ৷ সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নতুন কোনও বিচারপতির হাতে দায়িত্ব দিতে হবে ৷ আর দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির সেই নির্দেশের পরেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মূল ২টি মামলার নথি তলব করা হল বলে সূত্রের খবর ৷