বন্ধ হতে বসেছিল চিকিৎসা, র.ক্ত দিয়ে তরুণীর প্রা.ণ বাঁচালেন সিভিক ভলেন্টিয়ার

রক্তদান মহান দান। মঙ্গলবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল আরামবাগবাসী। রক্তের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল চিকিৎসা। রক্ত দিয়ে সেই মুমুর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচালেন সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিনশুভ্র হাজরা। সেই সঙ্গে তৈরি হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির।

আরামবাগ ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মির সামসেদ তার ২২ বছরের অসুস্থ মেয়েকে মঙ্গলবার আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থতার কারণে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দিতে হবে, না হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। এরপর শুরু হয় হন্যে হয়ে রক্তের সন্ধানের কাজ। অবশেষে ওই তরুণীর বাবা আরামবাগের ট্রাফিক ওসি সরোজ কুণ্ডুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর অসুবিধার কথা জানান। তৎক্ষণাৎ ওসি সরোজ কুণ্ডুর হোয়াটসঅ্যাপ পোস্ট দেখে ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিনশুভ্র হাজরা। এরপর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার আরামবাগ মহাকুমা হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিয়ে ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচান।

সিভিক ভলেন্টিয়ার তুহিনশুভ্র হাজরার এই মানবিক ভূমিকার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানায় ওই রোগীর পরিবার। রক্তদানের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার বলেন, আমি একজন মানুষ হিসাবে একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রক্ত মানুষের শরীরেই তৈরি হয়। বিজ্ঞান এখনো এই রক্ত আবিষ্কার করতে পারেনি বিকল্পভাবে। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারেনি একজন মানুষ হিসাবে। আমার মানবিকতার মধ্য দিয়েই আমি ওই মুমূর্ষ রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছি। এবং প্রত্যেকটি মানুষেরই এই দায়বদ্ধতা একজন মানুষ হিসাবে আরও একজন মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

আরও পড়ুন- মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পরেও নিয়োগে দেরি কেন? প্রশ্ন তুলে ক্ষো.ভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

 

Previous articleমন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পরেও নিয়োগে দেরি কেন? প্রশ্ন তুলে ক্ষো.ভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleরাজ্যের লিজ দেওয়া জমি দেখিয়ে ঋণ নিতে গেলে লাগবে ‘‌প্রসেসিং ফি’‌