রবীন্দ্র জয়ন্তীতে শাহি-বচন শুনবে কে! বঙ্গে বাতিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক সভা

কথা ছিল রবীন্দ্র জয়ন্তীর আগেরদিন ২ দিনের সফরে বাংলায় আসবেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক সভার পাশাপাশি রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।

বাংলার সংস্কৃতি, বাঙালির সেন্টিমেন্টকে ধরতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ঠিক ছিল রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু এবার সেই সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা। রবীন্দ্রজয়ন্তীর সময় রাজনৈতিক সভায় লোকের আদৌ আগ্রহ থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ফলে দোলাচলে শাহের বঙ্গ সফর।

কথা ছিল রবীন্দ্র জয়ন্তীর আগেরদিন ২ দিনের সফরে বাংলায় আসবেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক সভার পাশাপাশি রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। ৮ মে সন্ধেয় মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) সভা করবেন তিনি। ৯ মে অর্থাৎ ২৫ বৈশাখ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। সন্ধেয় সায়ান্স সিটি অডিটোরিয়ামে ‘আমাদের রবীন্দ্রনাথ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক বিজেপি সমর্থিত সংগঠন ‘খোলা হাওয়া’। সংগঠনটি বিজেপির রাজ্য়সভার প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর তৈরি। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করার কথা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। এছাড়াও তনুশ্রী শংকর, সোমলতা আচার্যের থাকার কথা। কিন্তু রবীন্দ্র-সন্ধ্যায় শাহি বক্তৃতা শুনতে আদৌ আমজনতার আগ্রহ থাকবে? তা নিয়ে চিন্তায় বঙ্গ-বিজেপি। ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গ সফর ঘিরে ধোঁয়াশা। বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলায় এলেও এলেও রাজনৈতিক সভা করবেন না অমিত শাহ। শুধুমাত্র বাংলায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। আবার পুরোপুরি বাতিল হতে পারে শাহি সফর। এর আগে পয়লা বৈশাখের সময় বঙ্গ সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেখানে বাংলার নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার কথা বলায় তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল সমালোচনা হয়।

জনসংযোগ যাত্রায় বাংলার কোণায় কোণায় যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর যেখানেই যাচ্ছেন সেখানে উপচে পড়ছে ভিড়। কার্যত জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে এগিয়ে চলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের সভায় ভিড় টানার বিষয়ে একেবারেই আত্মবিশ্বাসী নন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শাহও বুঝেছেন বাঙালি রবীন্দ্র জয়ন্তী ছেড়ে তাঁর ‘সুনার বাংলা’ গড়ার ভ্রান্ত আশ্বাস দেওয়া ভাষণ শুনতে কেউ যাবে না। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যাঁর দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই, রবীন্দ্রজয়ন্তীর সভায় এসে তিনি কী বলবেন! ফলে এই বঙ্গসফর বাতিলের রাস্তাতেই হাঁটতে পারেন শাহ।


 

Previous articleনিয়োগ দু.র্নীতির টাকা দিনমজুরদের অ্যাকাউন্টেও! ধৃত শান্তনুর বিরুদ্ধে ইডির হাতে বি.স্ফোরক তথ্য
Next articleবিশ্বভারতীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অর্মত্য সেনের বাড়ির সামনে ধর্ণা মঞ্চ তৃণমূলের