বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল মামলা! পুর নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সিনহার দ্বারস্থ রাজ্য

এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুর-নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।

পুরসভা নিয়োগে দুর্নীতির (Municipal Recruitment Scam) তদন্তে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই (ED-CBI)। এই মামলায় আগেভাগেই সিবিআই-ইডি তদন্তে এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে মামলা ফের কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফেরত পাঠিয়ে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) পুর-নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলাতেই শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ সুপ্রিম কোর্ট। এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) দ্বারস্থ হল রাজ্য। আগামী সোমবারই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে রমেশ মালিক এবং সৌমেন নন্দী সংক্রান্ত মামলার ফাইল ফেরত চেয়ে পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এরপরই দিনকয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কার্যালয় থেকে তলব করা হয়েছিল সেই নথি। এরপর জানা যায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া দু’টি মামলা পাঠান হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আর এদিন নতুন বিচারপতির বেঞ্চেও আবেদন জানানো হল মামলাকারীদের তরফে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Bandoadhyay) ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের (Ayan Seal) সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডির হাতে উঠে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। যেখানে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু নথিও মেলে। তদন্ত চলাকালীন দাবি ওঠে পুরসভাতেই নিয়োগ দুর্নীতি চক্র চালাতেন অয়ন শীল। নিয়োগপ্রার্থীদের দাবি, পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার পরও টাকা না দেওয়ায় অনেককেই নিয়োগপত্র পেতে দেননি অয়ন শীল। কিছু নথির ভিত্তিতে দাবি ওঠে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে।

 

 

 

Previous articleকোন সাহসে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মোদি সরকার? বিস্ফো.রক তথ্য দিলেন অভিষেক
Next article“যোগ্য আর কেউ নেই?” ইডি প্রধানের পুনর্বহালে কেন্দ্রকে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের