RSS ক্যাম্পে নিয়েছিলেন দেশাত্মবোধের শপথ, ‘দেশদ্রোহী’ DRDO বিজ্ঞানীর অতীত ‘সঙ্ঘ’ময়

শত্রু দেশ পাকিস্তানকে(Pakistan) ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিষয়ক তথ্য ফাঁস করে গ্রেফতার হয়েছেন ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার(Pradeep kurulkar)। তার গ্রেফতারিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে নিজেদের স্বঘোষিত ‘দেশভক্ত’ বলে দাবি করা আরএসএসের। কারণ কুরুলকারের অতীত বলছে ‘দেশদ্রোহীতা’ তো দূরের কথা শৈশব থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের(RSS) কাছে রীতিমতো ‘দেশভক্ত’ হওয়ার পাঠ নিয়েছেন তিনি। তবে আরএসএসের কাছে তিনি ঠিক কী পাঠ নিয়েছিলেন তা ধাপে ধাপে স্পষ্ট হচ্ছে এখন।

কুরুলকারের এমন একজন ব্যক্তি যিনি পুনেতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর শাখায় ‘দেশপ্রেমের’ পাঠ শিখেছিলেন। কুরুলকার জানিয়েছিলেন, সংঘ হলো এমন একটি সংগঠন যা তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে। অথচ সেই তিনি শত্রুকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কার্যত বংশ পরম্পরায় আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী কুরুলকার। গত বছর এক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, তার ঠাকুরদা একজন অংকবিদ। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন আরএসএসের ভলেন্টিয়ার। কুরুলকার নিজেও পাঁচ বছর বয়স থেকে শাখায় যাতায়াত করতেন। তার দাবি আরএসএস তার জীবনের অঙ্গ এবং সেখানে যাওয়াটা তার প্রাত্যহিক কাজের মধ্যে ছিল।

কুরুলকারের শিক্ষাগত যোগ্যতা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। ১৯৮৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৯৮ সালে যোগ দেন ডিআরডিওতে। মাঝে, পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে আইআইটি কানপুর থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। ডিআরডিওতে কর্মজীবনে রকেট লঞ্চার, সামরিক প্রকৌশল সরঞ্জাম, উন্নত রোবোটিক্স, এবং সামরিক ব্যবহারের জন্য মোবাইল মানবহীন সিস্টেম ডিজাইন এবং বিকাশে কুরুলকারের বিশেষত্ব উল্লেখযোগ্য। একজন প্রধান ডিজাইনার এবং দলের নেতা হিসাবে, তিনি বেশ কয়েকটি সামরিক সরঞ্জাম এবং সিস্টেমের বিকাশ এবং ডিজাইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এহেন বিজ্ঞানীর এমন দেশদ্রোহী কার্যকলাপে স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি মুখ পুড়েছে নিজেদের স্বঘোষিত দেশপ্রেমিক বলে দাবি করা আরএসএসের।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে সম্প্রতি প্রদীপ কুরুলকারকে গ্রেফতার করেছে এটিএস। এটিএস জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ, ভয়েস কল, ভিডিয়ো কল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার অপারেটিভদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। এটিএস আরও জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞানীকে ‘হানিট্র্যাপ’ করে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। ৫৯ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি বরখাস্ত করা হয়েছে চাকরি থেকে।

Previous article‘এত ক্যাজুয়াল অ্যাটিটিউড কেন্দ্রের কাছে আশা করা যায় না’,ময়নায় বিজেপি কর্মী খু*নের মামলায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি
Next articleওনাকে হয়ত ভুল বোঝানো হয়েছে: রাজ্যপালের কাছে বিল আটকে থাকা নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর