প্রথম সমাবর্তনে রতন টাটা সহ ছয় কৃতীকে ডিলিট প্রদান এসএনইউ-র

পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। মাত্র ৫ বছরেই পড়ুয়াদের ভরসা জোগাচ্ছে নিউ টাউনের সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্দেশ্য ছিল, শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ব ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত ও উন্নততর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণামূলক শিক্ষার উপরও জোর দিয়ে চলেছে এসএনইউ।আর সেই লক্ষ্য নিয়েই সিস্টার নিবেদিতার নামে ৫০ টি স্কলারশিপ এবং স্বামী বিবেকানন্দর নামে ১০ টি রিসার্চ ফেলোশিপ দেবে এসএনইউ।সোমবার প্রথম সমাবর্তনে ঘোষণা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সত্যম রায়চৌধুরী।

এদিন ৬জনকে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করা হয়।এদের মধ্যে আছেন শিল্পক্ষেত্রে  রতন টাটা,রবীন্দ্র গবেষক মার্টিন কেমচেন,আইএসআই-এর গবেষক সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়,ওস্তাদ আমজাদ আলি খান, বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ, প্রখ্যাত লেখক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়।হাজির ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ, দেবাশিস সেন প্রমুখ বিশিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, আজকের এই সমাবর্তন শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন।প্রথম থেকেই শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষাবিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক ছিল এসএনইউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রক্রিয়ার মূলে রয়েছে শিল্প ভিত্তিক পাঠ্যক্রম এবং পরীক্ষামূলক শিক্ষার এক মেলবন্ধন।

আমজাদ আলি খান বলেন, নিবেদিতাকে স্মরণ করে যেভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে, তার কোনও বিকল্প নেই। রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোস বলেন, নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি আগামিদিনে দেশকে পথ দেখাবে। শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। শিক্ষাই পথ দেখাবে, আত্মনির্ভর ভারত গড়ে উঠবে। এখানেও তিনি শেক্সপিয়ারের কথা উল্লেখ করেন।লেখক সাহিত্যিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, নিবেদিতাকে আরও জানতে হবে আমাদের।

এদিন ৬৪৭ পড়ুয়াকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।পূর্ব ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে এসএনইউ। অসংখ্য পুরষ্কার এবং প্রশংসা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুলিতে। রয়েছে এশিয়ান এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড, পূর্ব ভারতের সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এডুকেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ইত্যাদি শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি।

প্রায় ২৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, নেতৃস্থানীয় শিল্পসংস্থার সঙ্গে এই মউ হয়েছে। যার ফলে স্টুডেন্ট ও ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ, ইন্টার্নশিপ, গবেষণা প্রকল্পের পাশাপাশি এক্সপোজার, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার নতুন দিক প্রসারিত হয়েছে।

৫৮টি স্নাতক, ২৯টি স্নাতকোত্তর, ১০টি ডিপ্লোমা কোর্স এবং ৩৪টি পিএইচডি কোর্সসহ মোট ১৩১টি কোর্স রয়েছে এখানে।মাত্র ৫ বছরেই প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর ৫০০টি নামী সংস্থায় প্লেসমেন্ট হয়েছে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে।বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য, স্নাতকোত্তর এবং গবেষণারত শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের সেরা গন্তব্য হয়ে ওঠা।

 

Previous articleপুর নিয়োগ দু.র্নীতি মামলায় এখনই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয়! সাফ জানালেন বিচারপতি সিনহা
Next articleসেনায় ফের নারীশক্তির জয়গান: LOC-তে এবার মহিলা অফিসার নিয়োগে সিলমোহর