রবীন্দ্রজয়ন্তীতে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান নয়, বিজেপির নোটিশকে কটাক্ষ কুণালের!

বিজ্ঞপ্তিতে বিজেপি উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমঘ্ন ঘোষ লিখছেন, অনুগ্রহ করে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান ও রাজনৈতিক পতাকা ব্যবহার করবেন না। আরও একটি বিষয় তিনি লিখছেন, যে কোনওভাবে "জয় শ্রীরাম" স্লোগান দেওয়া যাবে না

রাতেই শহরে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঙালি আবেগে শান দিতে এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অংশ নেবেন অমিত শাহ। একাধিক কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গলবার ২৫ বৈশাখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে সকালে যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি জোড়াসাঁকো যাবেন।

এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমঘ্ন ঘোষ দলীয় কর্মী-সমর্থকের উদ্দেশ্য একটি আজ, সোমবার নোটিশ জারি করেছেন। যেখানে তিনি লিখছেন, “আগামীকাল সকাল ৮.৩০মিনিটে আমাদের উত্তর কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে (জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি) গৃহমন্ত্রী মাননীয় শ্রী অমিত শাহজি উপস্থিত থাকবেন। তাই সকল কর্মীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে যে আপনারা শুভ্র বেশে পুরুষরা পাঞ্জাবি-পাজামা ও মহিলার
শাড়ি পড়ে কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।”

তবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বিজ্ঞপ্তিতে তমঘ্ন ঘোষ লিখছেন, অনুগ্রহ করে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান ও রাজনৈতিক পতাকা ব্যবহার করবেন না। আরও একটি বিষয় তিনি লিখছেন, যে কোনওভাবে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়া যাবে না।

কিন্তু কেন এমন নোটিশ? যেখানে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, যেখানে রাজনৈতিক স্লোগান বা পতাকার ব্যবহার হতে পারে। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এ রাজ্যের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রবীন্দ্র সংস্কৃতি সম্পর্কে কি অজ্ঞ? কেন তাদের নোটিশ দিয়ে জানাতে হচ্ছে কী করা উচিত, কী নয়!

বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,
“আসলে এর আগে ভিক্টোরিয়াতে নেতাজির জন্মদিনে সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠেছিল বিজেপির তরফে। কোনও সংস্কৃতি নেই। ভগবান রামকে রাস্তায় নামিয়েছে রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে। যে দলকে নোটিশ দিয়ে বলতে হয়, রবীন্দ্র জয়ন্তীতে ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান দেবেন না, তাদের কোনও তালজ্ঞান, সচেতনতা নেই সেটাই প্রমাণিত।”

কুণালের সংযোজন, “অমিত শাহ আর বিজেপির আগে বাংলার গর্ব, দেশের গর্ব অমর্ত্য সেনের কাছে আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত। লোক দেখানো রবীন্দ্রজয়ন্তী করছে। রবীন্দ্রনাথ সমাজকে কিভাবে দেখতেন, যাঁরা জানেন না, তাঁদের আবার রবীন্দ্র জয়ন্তী। রবীন্দ্র দর্শনে যাঁদের বিশ্বাস নেই তাঁদের আবার কবি প্রণাম। অমিত শাহের তো এখন মণিপুরে যাওয়া উচিত। তা না করে রবীন্দ্রজয়ন্তীকে রাজনৈতিক মঞ্চ বানাতে চাইছে বিজেপি।”

আরও পড়ুন:কান্দিতে রোড শো-এ জনসুনামি, কুলির চায়ের দোকানে অভিষেককে ঘিরে প্রবল ভিড় উৎসাহীদের

 

 

Previous articleকান্দিতে রোড শো-এ জনসুনামি, কুলির চায়ের দোকানে অভিষেককে ঘিরে প্রবল ভিড় উৎসাহীদের
Next articleশেষ প্রচারে কর্নাটকে প্রিয়াঙ্কা-ঝড়, সোনিয়ার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি