কান্দিতে রোড শো-এ জনসুনামি, কুলির চায়ের দোকানে অভিষেককে ঘিরে প্রবল ভিড় উৎসাহীদের

তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ চষে বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কোচবিহার (Coochbehar) থেকে যাত্রা শুরু করে এখন তিনি রয়েছেন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সোমবার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে রোড শো এবং জনসভার পর বিকেলে কুলির একটি চায়ের দোকানে ঢোকেন অভিষেক। নিতান্ত সাদামাটা রাস্তার ধারের চায়ের দোকান। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে দেখে আচমকাই সেখানে প্রবল ভিড় জমে যায়। সবাই এসে তাঁর পাশে বসে নিজেদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানাতে চান। নিজের মোবাইল ফোনে তুলে রাখতে চান অভিষেকের পাশে বসা ছবি।

সবার সঙ্গে বসে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মেটান সেলফি তোলার আবদার। জনসংযোগ যাত্রায় গ্রাম বাংলার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে একেবারে বাড়ির উঠোনে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। জেনে নিচ্ছেন তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। পাশের বাড়ির ছেলের মতোই উঠোনে বসে চা পান করছেন। এর আগে মালদহে ১২৭ বছরের বৃদ্ধার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন অভিষেক। মুর্শিদাবাদেও দেখা গিয়েছিল এক বৃদ্ধা তাঁকে গাল ছুঁয়ে স্নেহাশিস জানাচ্ছেন। এদিনও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক অশীতিপর বৃদ্ধারকে প্রণাম করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার রোড শো গুলি এক একটি জনসুনামির আকার নিচ্ছে। তঁকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তার দুধারে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। এই ভিড় কোনও রাজনৈতিক দলের তৈরি করা নয়, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ। কখনও রাস্তায় হাঁটছেন, কখনও আবার গাড়ির মাথায় উঠে যাচ্ছেন অভিষেক। হুড খোলা গাড়িতে চলেছেন তিনি। আবার এদিন গাড়ির মাথায় পা ঝুলিয়ে বসতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে জনসমুদ্র এগিয়ে চলেছে। ঝরে পড়েছে গোলাপ ফুলের পাপড়ি। এরা সবাই যে তৃণমূল নেতা-কর্মী তা নয়, স্থানীয় বাসিন্দারাও উৎসাহ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিষেককে দেখতে। মুর্শিদাবাদ সেরে তাঁর এরপরের গন্তব্য বীরভূম।

আরও পড়ুন:প্রাথমিকের নিয়োগ দু.র্নীতিকাণ্ডে ফের হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে CBI, ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব

 

Previous articleপ্রাথমিকের নিয়োগ দু.র্নীতিকাণ্ডে ফের হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে CBI, ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব
Next articleরবীন্দ্রজয়ন্তীতে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান নয়, বিজেপির নোটিশকে কটাক্ষ কুণালের!