২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের ডেটা সংগ্রহ শুরু, অতিরিক্ত ৬ নম্বর নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের!

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Scam) তদন্তে বারবার আদালতের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এবার তদন্তে গতি আনতে আদালতের নির্দেশ মেনে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) কাছে ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণ শিক্ষকদের তথ্য তলব করেছে সিবিআই (CBI)। সেইমতো প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশ পাঠাল পর্ষদ। পর্ষদের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক্সেল সিট-১ এবং ২-তে এই তথ্য পাঠাতে হবে। মোট ছ’টি জিনিস চাওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।ধাপে ধাপে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৬,২০১৭ ও ২০১৮ সালে যারা রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে চাকরি পেয়েছেন মূলত তাঁদের এই তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলা যেমন কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভুম থেকে তথ্য পর্ষদ কর্তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। পাশাপাশি প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। ২০১৪ সালের পরীক্ষার সব পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আদালত। এবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। এতে ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত প্রশ্নপত্রের ছটি ভুল থাকার কথা মাথায় রেখে এই ছয় নম্বর দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এই নম্বর দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলায় মামলার জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ মে।

 

Previous articleশহিদ রাজেশের পরিবারের পাশে অভিষেক, দ্রুত সব রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছনোর আশ্বাস
Next articleশুভাদা শিল্পীসত্তা থেকে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসক হিসেবে; কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই: কুণাল