‘বেআইনি পদোন্নতি’র নির্দেশে স্থগিতাদেশ! সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা রাহুলকে সাজা শোনানো বিচারকের

শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয় নিয়ম ভেঙে প্রমোশন দেওয়া হয়েছিল বিচারক হরিশ হাসমুখভাই ভার্মা সহ গুজরাট জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৬৮ জন আইন অফিসারকে। শুক্রবার তাঁদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত খারিজ করে ওই বিচারকদের আগের পদে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্যস্ত করা বিচারককে গুজরাটের জেলা জজ (Gujrat District Judge) হিসেবে পদোন্নতির সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। শুক্রবার ৬৮ জনকে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এদিন রাজ্য সরকারের পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তিতে আপত্তি তুলে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, পদোন্নতির আইনি বৈধতা যখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তখন রাজ্য কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে? বিচারপতি এম আর শাহ এবং সি টি রবিকুমারকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ গুজরাট হাইকোর্টের পদোন্নতির এই সুপারিশ এবং রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেয়। এদিন শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয় নিয়ম ভেঙে প্রমোশন দেওয়া হয়েছিল বিচারক হরিশ হাসমুখভাই ভার্মা সহ গুজরাট জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৬৮ জন আইন অফিসারকে। শুক্রবার তাঁদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত খারিজ করে ওই বিচারকদের আগের পদে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

তবে এই মামলার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণেই রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ একই সঙ্গে গুজরাট হাই কোর্টের ভূমিকাতেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছে। ওই ৬৮ বিচারকের একজন হরিশ হাসমুখভাই ভার্মা (Harish HasmukhBhai Verma)। তিনি সুরাট আদালতের (Surat Court) সেই বিচারপতি যিনি গত ২৩ মার্চ মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু’বছর কারাবাসের সাজা শোনানোর পর সোনিয়া তনয়ের লোকসভার সদস্যপদ চলে গিয়েছে। এদিকে বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ শুক্রবার সেই পদোন্নতিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বিচারক বর্মার পাশাপাশি আরও ৬৭ জন বিচারককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাসতালুক রাজ্যের বিজেপি সরকার ২০০৫ সালের ‘গুজরাট স্টেট জুডিশিয়াল সার্ভিস রুল’ ভেঙে পদোন্নতি দিয়েছে বলেও শুক্রবার জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সবগুলি বদলির উপরেই জারি হয়েছে স্থগিতাদেশ। এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার মাপকাঠির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা একেবারেই মানা হয়নি।

উল্লেখ্য, জুডিশিয়াল অফিসারদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি সংক্রান্ত বিষয় রাজ্য সরকার ও হাইকোর্ট আলোচনা করে ঠিক করে। সুপ্রিম কোর্ট সেকারণেই মামলায় গুজরাট হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের কাছে হাসমুখভাই সহ অন্যান্যদের পদোন্নতি সংক্রান্ত ফাইল তলব করে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহর বেঞ্চ বলে সম্পূর্ণ নিয়ম ভেঙে এই পদোন্নতি করা হয়েছে। আর যে কারণেই পদোন্নতির নির্দেশ বাতিল করা হল।

 

 

Previous articleপ্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হাই কোর্টের
Next articleযশস্বীর ইনিংসে মজে বোর্ড সচিব, দিলেন বিশেষ বার্তা