দীর্ঘ নাটকের অবসান! বাড়ি ফিরেই বিস্ফো.রক ইমরান

বাড়ি পৌঁছেই ইসলামাবাদ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান। ইমরান দাবি করেন, কিছুতেই তাঁকে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে বেরতে দিচ্ছিলেন না ওই পুলিশকর্তা।

টানটান নাটকের অবসান। ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে শনিবার কাকভোরে বাড়ি ফিরলেন ইমরান খান (Imran Khan)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দু’দিন হাজতে থাকার পর শনিবার ভোরে লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে পৌঁছন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে সমর্থকদের প্রবল জয়ধ্বনির মাঝে জামান পার্কের বাসভবনে পৌঁছন ইমরান। ইসলামাবাদ (Islamabad) থেকে লাহোর (Lahore) পর্যন্ত ইমরানের সঙ্গে সঙ্গেই ছিলেন তাঁর দলের সমর্থকরা। এদিকে, বাড়ি পৌঁছেই ইসলামাবাদ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান। ইমরান দাবি করেন, কিছুতেই তাঁকে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে বেরতে দিচ্ছিলেন না ওই পুলিশকর্তা। জামিন পাওয়ার পরও নিরাপত্তার অজুহাতে তাঁকে জোর করে প্রায় ঘণ্টা তিনেক আটকে রাখা হয়।

তবে পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনে ইমরান বলেন, আমরা তাঁকে স্পষ্ট ভাষায় জানাই যে এই অপহরণের কথা গোটা পাকিস্তান জানতে পারবে। একথা বলার পরই বাধ্য হয়ে তিনি আমাদের মুক্তি দেন। বাইরে এসে দেখলাম রাস্তায় সেই অর্থে কোনও ভিড় বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে ইমরানের গ্রেফতারির পর থেকেই গোটা পাকিস্তান জুড়ে কার্যত আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল। ইমরান অনুগামীরা দলে দলে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। বহু সরকারি সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু দোকানে লুঠপাট চলেছে। গন্ডগোল থামাতে হিমসিম খায় পুলিশ। বিশাল বাহিনী নামানো হয় পাকিস্তান জুড়ে। তারপরেও অশান্তি থামেনি। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এদিকে সূত্রের খবর, এই হিংসার ঘটনায় সব মিলিয়ে ১০জন ইমরান অনুগামীর মৃত্যু হয়। প্রায় ২০০জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন। এদিকে বৃহস্পতিবার পাক সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেফতারি নিয়ে তারপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিল। সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইমরান খানের গ্রেফতারি বেআইনি। সেই সঙ্গে পাক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of Pakistan) তরফে হাই কোর্টকে জানানো হয়েছিল ইমরানের গ্রেফতারি সংক্রান্ত বিষয়টি আরও একবারে বিবেচনা করা হোক।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ইমরান জামিনের আবেদন জানাতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। সে সময় আদালত চত্বর থেকেই পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার ইমরানের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে পাক সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি উমর আটা বন্দিয়াল জানিয়ে দেন, বিচারবিভাগের দারস্থ হতে যাওয়ার সময় কোনও অভিযুক্তকেই আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা যায় না। এর পরেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 

 

Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleকর্ণাটকে ম্যাজিক ফিগারের পথে কংগ্রেস, দিল্লির দফতরে উচ্ছ্বাস কর্মী সমর্থকদের