অভিজ্ঞ সিদ্ধারামাইয়া নাকি “কংগ্রেসম্যান” শিবকুমার, কন্নড়ভূমে কার মাথায় উঠবে মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট?

কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিরাট সাফল্যের পর দক্ষিণী এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? দৌড়ে রয়েছে দুটি নাম। একদিকে উঠে আসছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার

কর্ণাটকে হার,দক্ষিণ ভারতে বিজেপি সাফ। এমন এক ঐতিহাসিক গোটা দেশজুড়ে প্রবল উচ্ছাস কংগ্রেস শিবিরে।
শুধু কংগ্রেস নয়, কন্নড়ভূমে এই জয় যেন দেশজুড়ে বিরোধীদের সার্বিক সাফল্য। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে বিজেপিকও উৎখাত করার রূপরেখা।

তবে কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিরাট সাফল্যের পর দক্ষিণী এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? দৌড়ে রয়েছে দুটি নাম। একদিকে উঠে আসছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। তবে সোনিয়া-রাহুলদের
“আশীর্বাদ” কার মাথায় থাকবে, তা নিয়েই জোর জল্পনা।

তবে দুই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার দৌড়ে সামান্য এগিয়ে
সিদ্ধারামাইয়া। কারণ, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা, ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রবীণ সিদ্ধারামাইয়ার সবচেয়ে বড় সম্পদ। অন্যদিকে শিবকুমারের সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ— তিনি আপাদমস্তক “কংগ্রেসম্যান”। গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ। সিদ্ধারামাইয়ার মতো তিনি অন্য দল থেকে কংগ্রেসে আসেননি। খারাপ সময়ে কর্ণাটকে এই মুহূর্তে সম্পদশালী শিবকুমারই কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ‘রক্ষক’!
১৯৮৯ সালে প্রথমবার ভোটে জিতেছিলেন শিবকুমার। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে তিনি হারেননি। ফলে কংগ্রেসের এই বিশাল জয়ের পর সিদ্ধারামাইয়া ও শিবকুমার, দুই নেতার সমর্থকরাই আশায় বুক বেঁধেছেন।

 

 

Previous articleমোদি রাজ্যে জলে ডুবে মৃ*ত্যু ৫ নাবালকের
Next articleআছড়ে পড়তেই তাণ্ডব শুরু মোকার