দক্ষিণের একমাত্র রাজ্যেও সলতে নিভল নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের। কন্নড়ভূমেও ডাহা ফেল বিজেপির (BJP) ডাবল ইঞ্জিন (Double Engine)। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে যা গেরুয়া শিবিরে মোক্ষম ধাক্কা। পাশাপাশি কর্ণাটকে (Karnataka) বিজেপির বিপর্যয়ের পরই কেন্দ্রে বিকল্প জোট গঠনের ভাবনা শুরু বিরোধী দলের। কংগ্রেসের (Congress) একটা বড় জয় একছাতার তলায় নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবির থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখছিলেন যে ওড়িশার বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Nabin Pattanayek)। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে বহুবার গাঁটছড়া বাঁধা সেই নবীন পট্টনায়কের গলাতেও বিরোধিতার সুর। কর্ণাটকের ফলাফল বেরোতেই কটাক্ষ করে বললেন, “সরকার ডবল ইঞ্জিন নাকি সিঙ্গল ইঞ্জিন, সেটা কোনও ব্যাপারই নয়। ভাল প্রশাসনটাই আসল।”
কর্ণাটকের পাশাপাশি ওড়িশার একটি আসনে উপনির্বাচনেও হারতে হয়েছে বিজেপিকে। ওই আসনে গেরুয়া শিবিরকে পর্যুদস্ত করেছে নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডি (BJD)। জয়ের পরই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন,”সরকার সিঙ্গল ইঞ্জিনের নাকি ডবল ইঞ্জিনের, সেটা মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শুধু সুশাসন। সবসময় সুশাসনেরই জয় হবে।” পট্টনায়েকের এই মন্তব্য যে বিজেপি বিরোধীদের পালে হাওয়া দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।