তৃণমূলে ছেড়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ালে ফেরার পথ বন্ধ: কড়া বার্তা অভিষেকের

ভোটাররাই যাতে তাঁদের প্রার্থী বেছে নিতে পারেন, এই উদ্দেশ্যে 'তৃণমূলে নবজোয়ার' কর্মসূচিতে পছন্দের প্রার্থীর নাম গোপন ব্যালটে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানে (East Badhawan) দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay)। রবিবার, দিনভর রায়না, খন্ডঘোষ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে জনসংযোগ যাত্রা, রোড শো সমাবেশ করেন অভিষেক। রাতে তাঁবুতে ফিরে সেখানে করেন দলীয় অধিবেশন। উপস্থিত ছিলেন বুথ সভাপতিরা। অভিষেক সাফ জানিয়ে দেন, যদি কেউ মনে করেন, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ভোটের সময় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে, ভোটের পরে ফিরে এসে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেবেন- তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। তাঁর জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ।

ভোটাররাই যাতে তাঁদের প্রার্থী বেছে নিতে পারেন, এই উদ্দেশ্যে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে পছন্দের প্রার্থীর নাম গোপন ব্যালটে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই সমস্ত প্রস্তাবিত নাম এবং তার সঙ্গে জেলার নেতৃত্বের নামের তালিকা সব দেখেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করা হবে। এর পরেই দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্পষ্ট জানান, প্রার্থী পছন্দ না হলেও তাঁকে কাঁধে করে ভোট বৈতরণী পার করার দায়িত্ব নিতে হবে সকলকে। কেউ যদি মনে করেন এই প্রার্থী পছন্দ হয়নি, তাহলেও দলের পছন্দকেই মান্যতা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে অভিষেকের বার্তা, কেউ যদি মনে করেন ভোটে কাজ করবেন না, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তাঁর হয়ে প্রচারে যাবেন না, অথবা নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন। তাহলে তাঁদের জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ। একবার নির্দল হয়ে দাঁড়ালে তাঁকে আর তৃণমূলে ফেরানো হবে না; অন্তত তিনি যতদিন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে আছেন। যাঁরা দলে থেকেও প্রার্থীর হয়ে কাজে অংশগ্রহণ করবেন না, তাঁদের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা আছে, তাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে যান- সাফ জানান অভিষেক।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে চিঠি সংগ্রহের কাজ চলছে। এক কোটি চিঠি নিয়ে তিনি দিল্লি যাবেন। তাঁর এই কর্মসূচির কথা শুনে এদিন পূর্ব বর্ধমানের ৯৭ বছরের এক বৃদ্ধ দিল্লি যেতে চেয়েছেন বলে জানান তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, মোদি সরকার বাংলার প্রাপ্য আটকে রেখেছেন জেনে সেই বৃদ্ধ বলেছেন, “আমি দিল্লি গিয়ে মোদির সঙ্গে দেখা করে দাবি আদায়ের কথা বলব”। অভিষেকের মতে, মানুষ যদি ঠিক করে কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করবে তাহলে সেটা করা ৫ মিনিটের ব্যাপার। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে।

 

Previous articleচেন্নাইকে ৬ উইকেটে হারাল কেকেআর, দুরন্ত ইনিংস নীতীশ-রিঙ্কুর
Next articleAAP কর্মীকে পেটা.নোর নির্দেশ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর, ভাই.রাল ভিডিও!