আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দিতে কুস্তিগিরদের ধর্না রামলীলা ময়দানে সরানোর প্রস্তুতি শুরু!

যন্তর মন্তর থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ সরে যাবেন কি না, সেই বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সাক্ষী।

যন্তর মন্তরে ২৪ দিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিররা।বুধবারের পর প্রতিবাদের জায়গা পরিবর্তন করতে পারেন কুস্তিগিররা।জানা গিয়েছে, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটরা তাঁদের আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন দিল্লির রামলীলা ময়দানে। তাঁরা এই আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দিতে চাইছেন।

কী বলছেন কুস্তিগিররা? ধর্নার স্থান পরিবর্তন নিয়ে সাক্ষী বলেছেন, ‘‘রামলীলা ময়দানে ধর্নায় বসার বিষয়টি আলোচনার স্তরে আছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাব।’’ যন্তর মন্তর থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ সরে যাবেন কি না, সেই বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সাক্ষী। ধর্নার জায়গা রামলীলা ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ আগেই দিয়েছিলেন ভীম আর্মি সভাপতি চন্দ্রশেখর আজাদ। কারণ, যন্তর মন্তরের থেকে রামলীলা ময়দানে জায়গা অনেক বেশি। ধর্না মঞ্চ সেখানে সরিয়ে নিয়ে গেলে আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দেওয়া সহজ হবে। মঙ্গলবার রাতেও অনুগামীদের নিয়ে এই বিষয়ে কুস্তিগিরদের সঙ্গে আলোচনা করেন চন্দ্রশেখর।
প্রসঙ্গত, এর আগে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলি এবং খাপ পঞ্চায়েতের নেতারা সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ২১ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। তার মধ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। তাই প্রয়োজনে ২১ মের পর ধর্নার জায়গা যন্তর মন্তর থেকে রামলীলা ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন আন্দোলনকারীরা।
ওয়াকিবহালমহলের মতে, যন্তর মন্তরে এ ভাবে বসে থাকলে কেন্দ্রের টনক নড়বে না। দাবি আদায়ের জন্য বৃহত্তর আন্দোলন দরকার।কুস্তিগিরেরাও আন্দোলনকে বৃহত্তর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অলিম্পিক্স পদক জয়ী বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, যন্তর মন্তর থেকে কনট প্লেসের কাছে হনুমান মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বজরং, বিনেশরা।কুস্তিগিরদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর চাপের মুখে কুস্তি সংস্থার সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ।এখন ধর্নার জায়গা বদল হলে কেন্দ্রের ওপর চাপ যে আরও বাড়বে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Previous article‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নি*ষিদ্ধ কেন, জবাব দিল রাজ্য
Next articleদিলীপের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরঃ খড়গপুরে বাংলো ‘ঘেরাও’ কুড়মিদের