সমাজকে আয়না দেখাল ‘দহাড়’, ক্রা.ইম থ্রিলারে সামাজিক অবক্ষ.য়ের ন.গ্ন চিত্র!

এই সিরিজ় চলতি বছরেই বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছিল। এবার মুকুটে নতুন পালক কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival) স্বীকৃতি।

ওয়েব সিরিজ(Web Series) মানেই তার প্রতিটি পর্বে লুকিয়ে থাকে নতুন কোনও রহস্য। বিশেষত ক্রাইম থ্রিলার (Crime Thriller) গল্পে সামাজিক ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। পরিচালক-প্রযোজক জ়োয়া আখতার (Zoya Akhtar) সেই লক্ষ্য নিয়েই রীমা কাগতির সঙ্গে জুটি বেঁধে উপহার দিলেন ‘দহাড়’ (Dahaad)। প্রচারের ঘনঘটা ছিলনা কিন্তু জোয়া কোনও কিছু তৈরি করলে তার মধ্যে অত্যন্ত বাস্তবিক একটা মেসেজ থাকা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রেও সেই একই কাণ্ড ঘটেছে। সোনাক্ষী সিন্‌হা (Sonakshi Sinha), বিজয় বর্মা (Vijay Varma), গুলশন দেভাইয়া(Gulshan Devaiya) ও সোহম শাহ অভিনীত এই সিরিজ় চলতি বছরেই বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছিল। এবার মুকুটে নতুন পালক কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival) স্বীকৃতি।

১২ মে এক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘দহাড়’। ‘জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র পরিচালক তাঁর ছবিতে উচ্চবিত্ত সমাজের নিত্যদিনের জীবনযাপনকে যেমন দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরতে পারেন, আবার সমাজের অন্ধকার দিক যে তাঁর চোখকে ফাঁকি দেয় না তার প্রমাণ দিল নতুন ওয়েব সিরিজ ‘দহাড়’ (Dahadd)। গল্প শুরু সোনাক্ষী সিন্‌হার চরিত্র অঞ্জলি ভাটির ক্যারাটে অভ্যাসের দৃশ্য দিয়ে। সেখানে পুরুষ প্রশিক্ষকের সামনে তাঁর অনমনীয় মনোভাব প্রমাণ করে দেয় চরিত্রের দৃঢ়তা। গল্পে তিনি মণ্ডওয়া পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর, নিজের কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সময় তাঁর কাছে নেই । সেখানে আবার দেখতে পাওয়া যায় গুলশন দেভাইয়ার চরিত্র দেবী সিংকে। যোগ্যতার বিচারেই মানুষের মাপকাঠি, এমন কথায় বিশ্বাস করেন এই বড়বাবু। রহস্যের সূত্রপাত হয় যখন কৃষ্ণা নামের এক তরুণীর নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করতে থানায় আসেন তাঁর দাদা। তদন্ত যত এগোতে থাকে, ততই স্পষ্ট হয় অঞ্জলির সিরিয়াল কিলার তত্ত্ব। একজন বা দুজন নয় গোটা রাজস্থান জুড়ে একাধিক মেয়ের নিখোঁজ হওয়া আর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার মধ্যে জমে ওঠে ক্রাইম থ্রিলার । সোনাক্ষি ছবির মুখ হলেও অভিনয়ের দিক থেকে একে অপরকে টেক্কা দিয়েছেন বিজয় বর্মা ও গুলশন দেভাইয়া, তাঁদের থেকে চোখ সরানো মুশকিল। বলিউডের দাবাং গার্ল সোনাক্ষির কিছু দৃশ্যে হিরোইন সত্তা প্রকাশ পেলেও গোটা সিরিজ়ে ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছেন তিনি।

দেশের বড় বড় জায়গায় জাত পাত নিয়ে মানুষের বর্তমান ভাবনা ঠিক কতটা সীমাবদ্ধ তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো এই সিরিজ।

 

 

Previous articleএসপি শান্তি দাস বসাকের নেতৃত্বে এগরায় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল
Next articleএগরাকাণ্ডের জের, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ নবান্নের