রাজ্যে দলের বেহাল দশা! পঞ্চায়েতকে ‘পাখির চোখ’ করে শহিদ মিনারে সভা কংগ্রেসের

ইতিমধ্যে অধীর চৌধুরীর নির্দেশে একটি প্রচার কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন ৬ জন।

কর্নাটকের ফল (Karnataka Result) কংগ্রেসকে (Congress) নতুন অক্সিজেন জুগিয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে বাংলাতেও দলের নেতা-কর্মীদের ভোকাল টনিক দিতে শহিদ মিনারে (Sahid Minar) একক জনসভা করতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ১৫ জুন এই জনসভা হতে চলছে বলে জানিয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। পাশাপাশি জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার বিধানভবনে জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক সারেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকেই অধীর চৌধুরীর নির্দেশে একটি প্রচার কমিটি (Committee) গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন ৬ জন। প্রদেশ কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান নেপাল মাহাতো, তিন সহ সভাপতি অসিত মিত্র, মহম্মদ মুখতার, দীপ্তিমান ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মনোজ চক্রবর্তী এবং মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুমন পাল। জানা গিয়েছে, শহিদ মিনারে সমাবেশের আগে মাসখানেক রাজ্য জুড়ে সভা ও প্রচার কর্মসূচি চলবে কংগ্রেসের।

তবে কংগ্রেসের শহিদ মিনারে জনসভা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, কর্নাটক নির্বাচনের কোনও ছাপ বাংলায় পড়বে না। বাংলায় একেবারে দেউলিয়া অবস্থা কংগ্রেসের। বামদের (Left) হাত ধরে রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয়নি কংগ্রেসের। উল্টে আরও ভরাডুবি হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক ইস্যু নিয়ে সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিনই শহরকে স্তব্ধ করার চেষ্টায় হাতে হাত মিলিয়েছে বাম-কংগ্রেস। তবে একাধিকবার বিভিন্ন চেষ্টা করলেও সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে বাম কংগ্রেস জোট। আর কর্নাটকে সরকার গঠনের পর থেকেই কংগ্রেস ভাবতে শুরু করেছে সেই জয়ের ধারা অব্যহত থাকবে বাংলাতেও। আর সেকারণেই বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করতে ছাড়ছে না হাত শিবির। কিন্তু শত চেষ্টা করলেও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কতটা সুবিধাজনক জায়গা তৈরি করতে পারবে কংগ্রেস তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বলেন, সিপিএম এবং আইএসএফ-র সঙ্গে জোট করে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হয়েছিল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জিতে সবে এক হয়েছে, এখনই ১৪৮ আসন পাওয়ার স্বপ্ন পাগলেও দেখবে না।

তবে অধীরের সাফাই, কর্নাটকের ফল দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে হারাতে পারে কংগ্রেস। সুস্থ, ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দল। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) তা ইতিমধ্যে করে দেখিয়েছে বলেও দাবি অধীরের। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিভাজন চালাচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করে অধীর জানান, রাজ্যে এবং কেন্দ্রে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই অভিযানের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে হাত শিবির বামেদের হাত ধরে কোনও আশানুরূপ অবস্থায় যাবে নাকি আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে তা জানার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে।

 

 

Previous articleরাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই জাপানে জেলেনস্কি সাক্ষাতে মোদি
Next articleমুশকিল আসান: অভিষেককে জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোগীর হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড