নতুন করে ATM কাস্কেট সাজাতে হবে: কেন্দ্রের খামখেয়ালিপনায় ক্ষুব্ধ ব্যাঙ্ক

প্রথমবার নোট বাতিলের জেরে পরিবর্তন করতে হয়েছিল এটিএমে টাকা রাখার কাস্কেট(ATM Cassette)। পরে ২০০০ টাকার নোট ও তারপর ২০০ টাকার নোট। প্রতিবার আলাদা আলাদা করে পরিবর্তন করতে হয় দেশজুড়ে চলতে থাকা এটিএমের কাস্কেটগুলি। এবার ফের ২০০০ টাকার নোট বাতিলে বিরক্ত দেশের ব্যাঙ্কগুলি। কারণ এবার আবার সেই কাজটি নতুন করে করতে হবে।

সোমবার দেশের সরকারি ব্যাঙ্কগুলির ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক(RBI)। সেখানে অন্য এজেন্ডার পাশাপাশি এই প্রসঙ্গও উত্থাপিত হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আবার এটিএম রিক্যালিব্রেট করার জন্য বহু অর্থব্যয় হবে। নতুন করে সাজাতে হবে এটিএমের কাস্কেট। কারণ যে কাস্কেটে দু’হাজার টাকার নোট থাকে, সেটি ফাঁকা রেখে দেওয়ার কোনও মানে নেই। অন্য নোট যাতে রাখা যায় সেটা নিশ্চিত করতে নতুন আকারের কাস্কেট লাগাতে হবে। এদিকে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের তরফে বলা হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে নির্দেশ দেবে, ব্যাঙ্ক কর্মীরা তা পালন করতে বাধ্য। তাঁরা যথাযথ পরিষেবা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাবেন। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মী সংখ্যা এতটাই কম, আলাদা করে নোট বদলের জন্য কর্মী মজুত রাখা প্রায় অসম্ভব। সেই কাজ করতে গেলে বাড়তি সময় ব্যাঙ্কে থেকে পরিষেবা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁদের ওভারটাইম বাবদ বাড়তি পয়সা মেটানোর দাবি জানিয়েছি আমরা। পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কম অঙ্কের নোটের জোগান থাকে, সেই দিকটিও দেখতে বলেছি আমরা।

অন্যদিকে আরবিআইয়ের ২০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণায় ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের ব্যাংকগুলিতে গচ্ছিত গড় আমানতের পরিমাণ সাধারণত ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যেই থাকে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আরবিআইয়ের ২০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার ফলে তা বেড়ে ২ লক্ষ কোটি টাকা অবধি হতে পারে। তবে এই আমানত বৃদ্ধি ক্ষণস্থায়ী হবে বলেই মনে করছেন অর্থ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।