শহরের দু’তিনটি নামজাদা বেসরকারি স্কুলের অস্বভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়।সেই মামলার শুনানিতে বেসরকারি স্কুলকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা কোনও মিষ্টির দোকান নয়, যে একটি দোকানে কোনও মিষ্টি ১০ টাকায় বেচবে আর কোনও দোকান সেই মিষ্টি ৫ টাকায় বেচবে।’

শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, অনেক স্কুল ফি বাড়ানোর আগে সরকারি অনুমতি নেয় না। সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বেসরকারি স্কুল ইচ্ছেমতো ফি বাড়াতে পারে না।এরপর আদালতের পর্যবেক্ষণ, বেসরকারি সংস্থা বলেই যেমন খুশি ফি নির্ধারণ করা যায় না। বেসরকারি স্কুলগুলি কী নিয়মে ফি বাড়াতে পারবে তা আগামী শুনানিতে উভয় পক্ষকে জানাতে হবে।মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ জুন।
অভিভাবকদের দাবি, বিভিন্ন ক্লাসে ২২-৫০ শতাংশ হারে বাড়ানো হচ্ছে ফি। আরেকটি স্কুলে আবার ফি বেড়েছে ১০০ শতাংশ। ফি দিতে কালঘাম ছুটছে অভিভাবকদের। জানা গেছে, যে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেগুলি সবকটাই সিবিএসই বোর্ডের। বিচারপতি এদিন বোর্ডের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ফি নিয়ন্ত্রণে বোর্ডের ভূমিকা কী? বোর্ডের তরফে জানানো হয়, এই ব্যাপারে রাজ্য যা ঠিক করবে তাই হবে।
