হেলমেটে ব্লুটুথ কলিং সিস্টেম! তাক লাগালেন চন্দননগরের সৌভিক

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই হেলমেটে রয়েছে একাধিক বৈশিষ্ট্য। চার্জিং সিস্টেম, ইন্ডিকেটর লাইট(Indicator Light), ব্লুটুথ কলিং সিস্টেম - এই সব কিছুই মিলবে সৌভিকের তৈরি করা হেলমেটে।

বিজ্ঞান একের পরে আবিষ্কার (New Inovation of Science and Technology) করে মানুষকে প্রতি মুহূর্তে চমকে দিচ্ছে। আর সেই বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়েই এই প্রজন্মের প্রতিভাবান কিছু ছাত্ররা নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে প্রযুক্তির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়ে অভূতপূর্ব নানা আবিষ্কার করতে ব্যস্ত। তার প্রমাণ দিলেন চন্দননগরের (Chandannagar) বাসিন্দা সৌভিক শেঠ (Souvik Sheth)। চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দির (Kanailal Vidyamandir) স্কুলের ইংরেজি বিভাগের ক্লাস নাইনের ছাত্র চার্জিং জুতো তৈরি করে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন। এবার তার আবিষ্কারের তালিকায় নয়া সংযোজন ব্লুটুথ কলিং সিস্টেম যুক্ত হেলমেট (Helmet with Blue Tooth calling system facility)।

সৌভিক বলছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই হেলমেটে রয়েছে একাধিক বৈশিষ্ট্য। চার্জিং সিস্টেম, ইন্ডিকেটর লাইট(Indicator Light), ব্লুটুথ কলিং সিস্টেম – এই সব কিছুই মিলবে সৌভিকের তৈরি করা হেলমেটে। একে স্মার্ট হেলমেট (Smart Helmet) নাম দিয়েছেন তিনি। সৌভিকের কথায় , এই হেলমেট মানুষকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করবে। এই হেলমেটের ইন্ডিকেটর লাইট হেলমেটের পিছন দিকে জ্বলবে। এর ফলে অন্ধকারে পিছন থেকে আসা গাড়ি সহজেই বুঝতে পারবে যে এই হেলমেট পরে সামনে কেউ রয়েছেন। সেক্ষেত্রে এটা একটা বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বলেই মনে করছেন সৌভিক।

এবার ধরুন কেউ হেলমেট পরে গাড়ি চালাচ্ছেন এমন সময় ফোন জরুরি ফোন এলো, সেক্ষেত্রে চলন্ত অবস্থায় ফোনে কথা বলতে গিয়ে বা ফোন রিসিভ করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাঁদের কথা ভেবে এই হেলমেটে রাখা হয়েছে স্পেশাল ব্লুটুথ কলিং সিস্টেম।যেখানে ফোন এলে কাউকে আর পকেট থেকে ফোন বের করে ফোন ধরতে হবেনা।ফোনটা হেলমেটের সাথে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে কানেক্ট করা থাকবে যেখানে ফোন এলে এই হেলমেটের মাধ্যমেই ফোন রিসিভ করা যাবে। এখানেই শেষ নয় চমক আরও বাকি। হেলমেটে রয়েছে সোলার চার্জিং সিস্টেম (Solar Charging System) যার ফলে সূর্যের তাপে এই হেলমেটে চার্জ হবে। যদি কোথাও বিদ্যুৎ না থাকে সেখানে এই হেলমেটের মাধ্যমে কেবলের সংযোগ করে যে কেউ নিজের ফোনেও চার্জ দিতে পারবেন। সৌভিক বলছেন এই হেলমেট তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা। ক্লাস নাইনের ছাত্রের এহেন কীর্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চন্দননগরের মানুষ।

 

Previous articleসেন্ট্রাল ভিস্তার সামনে মহাপঞ্চায়েত করবেন আন্দোলনরত কুস্তিগিররা
Next articleমোদি সরকারের চরম বিরো.ধিতা, নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী!