জেলা সভাপতিরা পদস্থ নেতাদের পাত্তাই দেন না, অনুপমের মন্তব্যে বেআব্রু বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল

যখন তারা পদে থাকেন তখন এই ঔদ্ধত্য তাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু পদ হারানোর পরই স্বভাব বদলে ফেলেন। তখন দলের পদাধিকারিদের সুনজরে থাকার চেষ্টা করেন।

গোষ্ঠীকোন্দল লেগেই আছে বঙ্গ বিজেপিতে।বিবৃতি পাল্টা বিবৃতিতে সেই কোন্দল মাঝে মধ্যেই বেআব্রু হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ফের দলের বিরুদ্ধেই সরব বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।এবার তার অভিযোগ, অধিকাংশ জেলা বা মণ্ডল সভাপতিরা দলের পদস্থ কর্তাদের কোনও পাত্তা দেন না।যখন তারা পদে থাকেন তখন এই ঔদ্ধত্য তাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু পদ হারানোর পরই স্বভাব বদলে ফেলেন। তখন দলের পদাধিকারিদের সুনজরে থাকার চেষ্টা করেন।

অনুপম হাজরা যা বলেছেন, তাকে সমর্থন করছেন অধিকাংশ বিজেপি নেতাই।আসলে একুশের নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট হয়ে যায়। বিজেপির একাংশে অভিযোগ করেছেন, নিচুতলার নেতাদের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই দলের শীর্ষ নেতাদের। ফলে মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতিরা অনেক ক্ষেত্রেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে পাত্তা দেয় না। আবার একাংশের অভিযোগ, দলের উপরের স্তরের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব পড়ছে নিচুতলায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক লিখেছেন, আমাদের দলের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে।বেশিরভাগ জেলা বা মণ্ডল সভাপতিরা, পদে থাকাকালীন প্রচুর হম্বিতম্বি করেন। এমন হাবভাব ‘কার্যকর্তাদের সহজে পাত্তা দেব না’।কিন্তু ‘প্রাক্তন’ হওয়া মাত্রই একটা অমায়িক মিষ্টি মানুষে পরিণত হন, যেন যে কোনও কার্যকর্তাকে সামনে পেলেই ভালবেসে জড়িয়ে ধরবেন।

এরই পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। জানি না অবশ্য আপনার অভিজ্ঞতা আবার কী? অনুপম হাজরার এই মন্তব্য ঘিরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অনুপমের এই মন্তব্যকে আদৌ ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারবে বিজেপির নব্য নেতারা? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

Previous article‘কোহলি কোহলি চিৎকার আমায় ভালো বল করতে তাগিদ জোগাচ্ছে’ : নবীন
Next articleবিবাদ চরমে, মরুরাজ্যে সঙ্কট মেটাতে গেহলট-পাইলটকে তলব খাড়গের