বিবাদ চরমে, মরুরাজ্যে সঙ্কট মেটাতে গেহলট-পাইলটকে তলব খাড়গের

কর্ণাটক সমস্যা মেটার পর কংগ্রেসের নজর এখন রাজস্থানে। দীর্ঘদিন ধরে মরুরাজ্যে চলতে থাকা শচীন পাইলট(Sachin Pilot) এবং অশোক গেহলটের(Ashok Gehlot) দ্বন্দ্ব মেটাতে দুই নেতাকেই দিল্লিতে তলব করলেন কংগ্রেস(Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun Kharge)।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজস্থানে গেহলট ও পাইলটের দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছিল। হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও নতুন করে ফের টালমাটাল পরিস্থিতি মরু রাজ্যে। নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলন চালাচ্ছেন শচীন পাইলট। শুধু তাই নয় দাবি পূরণ না হলে ১৫ দিনের মধ্যে গণআন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আসলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে মরিয়া শচীন পাইল। যদিও কংগ্রেস সূত্রের খবর, হাইকম্যান্ড চায় না পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেভাবে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনে নেমেছেন তাতে রীতিমত অসন্তুষ্ট দিল্লির নেতৃত্বরা‌। অনুমান করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে কেন্দ্রীয় স্তরে বড় কোন পদ দিয়ে আপাতত পাইলটকে শান্ত করতে চান খাড়গেরা। মুখোমুখি দুজনকে বসিয়ে বর্তমান সমস্যার সমাধানেই দিল্লি ডাকা হয়েছে দুই নেতাকে।

এদিকে পাইলটের ক্ষোভ যে মাত্রায় গিয়েছে তাতে সব দিকই ভেবে রাখছে কংগ্রেস। পাইলট যদি এখন দল ছাড়েন সেক্ষেত্রে সরাসরি বিজেপিতে তিনি যোগ দেবেন না। বড়জোর আলাদা আঞ্চলিক দল ঘোষণা করতে পারেন তিনি। এক্ষেত্রে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে খুলতে পারেন তৃতীয় মোর্চা। তাতে কংগ্রেসের ক্ষতি হলেও পাইলটের বিশেষ লাভ কিছু হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। জটিল এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসে রেখেই পাইলটের ক্ষোভ মেটাতে তৎপর হাইকম্যান্ড।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে রাজস্থানের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের নেতৃত্বে বিদ্রোহ শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। মুখ্যমন্ত্রী পদে অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) পরিবর্তে পাইলটকে বসাতে চেয়ে আন্দোলন শুরু হয়। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পাইলটকে। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকে গেহলটের হাতেই। গেহলট অভিযোগ করেন, সেসময় তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটা আসলে হয়েছিল বিজেপির ইশারায়। তাতে শামিল হয়েছিলেন পাইলট। সেই যে বিবাদ শুরু হয়েছিল, সেটা আজও মেটেনি। এবার নিতান্ত নিরুপায় হয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছে।

Previous articleজেলা সভাপতিরা পদস্থ নেতাদের পাত্তাই দেন না, অনুপমের মন্তব্যে বেআব্রু বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল
Next articleঝাড়খণ্ডে নতুন হাই কোর্ট ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি! টুইট করে মোদিকে তো.প সুখেন্দুর