কল্পনা পেরিয়ে এবার বাস্তবেও ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’, রয়েছে একাধিক চমক!

ঢাকা-পাবনা মহা সড়কের জালালপুর এলাকায় ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে। হোটেলের মেনুতে রয়েছে একাধিক চমক।

ইন্দুবালার হোটেল (Indubala Bhater Hotel) এবার ফিরল বাস্তবেও। বাংলাদেশের (Bangladesh) পাবনায় কল্লোল লাহিড়ীর ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ উপন্যাসে বর্ণিত সেই সমস্ত একাধিক পদ সহ বাংলার বহু পুরনো পদ এই হোটেলে প্রতিদিনই রান্না হয়। আর নাম শুনেই দুপুরে হোটেলে খাওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। যেখানে খেতে ঢুকলে খাবারের থালা হাতে আপ্যায়ন করতে এগিয়ে আসছেন মহিলারা। তারা সবাই লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরা মহিলারা।

ঢাকা-পাবনা মহা সড়কের জালালপুর এলাকায় ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে। হোটেলের মেনুতে রয়েছে একাধিক চমক। কুমড়ো ফুলের বড়া, বিউলির ডাল, ছ্যাঁচড়া, আম–তেল, মালপোয়া, চিংড়ির হলুদ গালা ঝোল, চন্দ্রপুলি এবং কচুবাটা। এগুলি ছাড়াও রয়েছে নারকেল দিয়ে কচুবাটা, আম দিয়ে নলা মাছ, কুমড়োর ছক্কা, পারশে মাছের ঝোল, আম-তেলের বেগুনভাজা সহ একাধিক পদ। মেনু তালিকায় খাবারগুলির পাশে লেখা রয়েছে দাম। আর দুপুর হওয়ার আগেই হোটেলে খাবার জন্য ভিড় জমে যায়। অনেক পদ সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায়। আর সেকারণেই পছন্দের পদের স্বাদ গ্রহণ করতে আগেভাগে দূরদুরান্ত থেকে চলে আসেন বহু মানুষ। শুধু পাবনা জেলা শহর নয়, হোটেলে খেতে আসেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষও।

পাশাপাশি হোটেলে যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের পোশাকেও রয়েছে বিশেষ ধরণ। মেয়েরা লাল পাড় সাদা শাড়ি এবং ছেলেরা সাদা টি শার্ট পরে খাবার পরিবেশন করছেন। টি শার্টে লাল রঙে লেখা ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। স্টিলের থালার ওপর কলাপাতায় পরিবেশন করা হচ্ছে ভাত-সহ সমস্ত পদগুলি। হোটেলের মালিক সোহানী হোসেন বলেন, হারিয়ে যেতে বসা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কিছু বাংলা খাবারের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পরিচয় ঘটানো ও কম খরচে সাধারণ মানুষের খাবারের সুযোগ করে দিতেই এই ভাতের হোটেল।

 

 

 

Previous articleWTC ফাইনালের পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করল আইসিসি, চ‍্যাম্পিয়ন হলে কত পাবেন রোহিতরা
Next articleব্রেনটি*উমারে আ*ক্রান্ত শাহিনের পাশে হুগলি জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ!