বিছিন্নতাবাদীদের বাগে আনতে মণিপুরে এবার সেনা অভিযান, ইম্ফল সফরে মনোজ পাণ্ডে

হিংসার আগুন কিছুতেই নিভছে না মণিপুরে। লাগাতার জ্বলতে থাকা জাতি দাঙ্গার আগুনে ইন্ধন যোগাচ্ছে পাহাড়ের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার অভিযান শুরু করল অসম রাইফেলস ও সেনাবাহিনী। পাশাপাশি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দু’দিনের মণিপুর সফরে গেলেন ভারতীয় স্থলসেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। সেনা তরফে জানানো হয়েছে, জেনারেল পাণ্ডের দু’দিনের মণিপুর সফরের সঙ্গী হয়েছেন, সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা।

সেনা সুত্রে জানা গিয়েছে, সংঘাতের মূল কেন্দ্রবিন্দু ও ইম্ফল উপত্যকা ঘিরে রাখা পাহাড়গুলিতে অভিযান শুরু করেছে অসম রাইফেলস ও সেনাবাহিনী। গভীর জঙ্গলে আত্মগোপন করে থাকা কুকি ও নাগা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেই এই অভিযান। সূত্রের খবর, জাতি দাঙ্গায় ইন্ধন জোগাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট (UPA) ও কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (KNO) মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি। পাহাড়ে মেতেইদের উপর হামলা চালাচ্ছে তারা। আজ শনিবার থেকেই সেনাপতি জেলার মতবুং, সদর হিল অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সাইকুল, পুখাও ও সাংগলমাং এলাকায় অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার ইম্ফল সফরে যাচ্ছেন দেশের সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে। এবং তাঁর সফরসঙ্গি হয়েছেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা। সেনা প্রধানের পাশাপাশি বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে মণিপুর নিয়ে মৌণব্রত ভেঙেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শীঘ্রই মণিপুর সফরে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেতেই জনজাতির সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘাত চলছে কুকি-ঝোমি ও অন্য আদিবাসীদের। লাগাতার হিংসায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জনেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন, ঘরছাড়া ৩ হাজারের কাছাকাছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় জারি রয়েছে কারফিউ। বন্ধ ইন্টারনেট। এই পরিস্থিতির মাঝেই এবার মণিপুরে শুরু হল সেনা অভিযান।

Previous article১১ মিনিটে ১১ কিমি পথ! অঙ্গ প্রতিস্থাপনে গ্রিন করিডর করে নজির কলকাতা পুলিশের
Next articleপুলিশ ভুল করলে আমাকে জানান: দু.ষ্কৃতী দমনে জিরো টলারেন্সের বার্তা সৌগতর