নীতি আয়োগে গরহাজির, মমতার পথে বৈঠক বয়কট আরও ৭ মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগেই ঘোষণা করেছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না তারা। সেই পথে হেঁটে শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির থাকলেন ভগবন্ত মান, নীতীশ কুমার এবং কে চন্দ্রশেখর রাও। সঙ্গে এমকে স্ট্যালিন, পিনারাই বিজয়ন, অশোক গেহলটও। সব মিলিয়ে শনিবারের বৈঠকে বেশ দীর্ঘ হয়ে উঠল বয়কটকারী মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা।

নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এই বৈঠকে তিনি হাজির থাকবেন না বলেও জানান। তবে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও কেন্দ্র তা খারিজ করে দেয়। মমতার পর বৈঠক বয়কটের কথা ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের ভগবন্ত মান। এ বিষয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন কেজরিওয়াল। তিন মুখ্যমন্ত্রী পর শনিবার সকালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র প্রধান চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও একই পথে হাঁটার কথা ঘোষণা করেন।

এরই মাঝে সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, দিল্লিতে নীতি উপস্থিত থাকছেন না কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন এবং রাজস্থানের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সব মিলিয়ে আটটি ও বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাতিল করলেন নীতি আয়োগের বৈঠক। যদিও পিনারাই বিজয়ন নিজের অন্য কর্মসূচি এবং গেহলট শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এভাবে বৈঠক বয়কট প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, দিল্লিতে ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের জারি করা বিতর্কিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) ঘিরে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ফসল এই বৈঠক বয়কট।

Previous articleম‍্যাচ হারলেও শুভমনের খেলায় খুশি রোহিত
Next articleকনভয়ে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কমিটির, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে দায় আস্বীকার