পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে নাগপুর থেকে আসছেন প্রশিক্ষকরা

তাঁরাই জুন ও জুলাই মাস জেলায় জেলায় ঘুরে এই প্রশিক্ষণ দেবেন বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর।

রাজ্যে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে নাগপুর থেকে আসছেন প্রশিক্ষকরা। এগরার ঘটনার পরে রাজ্যে গ্রিন ক্র্যাকার (Green Cracker) তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনার কথাও জানানন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরিতে উৎসাহ দিতে বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী দু-মাস জেলায় জেলায় বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করে আতসবাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীদের পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরজন্য নাগপুরের ন্যাশনাল এনভারমেন্টাল রিসার্চ ইন্টিটিউট থেকে ২২ জন দক্ষ প্রশিক্ষককে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁরাই জুন ও জুলাই মাস জেলায় জেলায় ঘুরে এই প্রশিক্ষণ দেবেন বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর।

আপাতত ঠিক হয়েছে, জাতীয় স্তরের এই সংস্থার সদস্যরা আগামী দু’মাস পশ্চিমবঙ্গে থেকে প্রশিক্ষণ দেবেন। তবে আতসবাজি ব্যবসায়ীদের দাবি, কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মেয়াদ বাড়িয়ে ৬মাস করা হোক। আগামী দিনে এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন সারা বাংলার আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বাবলা রায়। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি উদ্যোগে এমন সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এটা অত্যন্ত ভালো বিষয়। তাই বহু অল্পবয়সী যুবক-যুবতী এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন। তাই পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ শিবিরের মেয়াদ যাতে বাড়ানো হয়, সেই বিষয়ে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাব।’’

আগামী উৎসবের মরশুমে যাতে আতসবাজির বাজারে ঘাটতি না পড়ে, সেই বিষয়টিও নজরে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। বাবলা রায়ের কথায়, মোট তিনটি স্তরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
• প্রথম দফায় এই ব্যবসায় যারা মূল যুক্ত তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
• দ্বিতীয় স্তরে এই শিল্পে যুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা-সহ যাঁরা এই শিল্পে উৎপাদনে যুক্ত তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
• তৃতীয় স্তরে আতসবাজি পার্ক এবং হাবের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা তাঁদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিষয় ওই কমিটি একটি বৈঠক করে। পরে পশ্চিমবঙ্গের আতসবাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক হয় মুখ্যসচিবের। সেখানেই ঠিক হয়েছে জুন এবং জুলাই মাস ধরে রাজ্য জুড়ে সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, মাত্র কয়েক দিনে ৩০ হাজার মানুষ এই প্রশিক্ষণ নিতে আবেদন জানিয়েছে। প্রত্যেক জেলার ক্ষেত্রে একটি করে কমিটি তৈরি হয়েছে, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি, দমকল সচিব পরিবেশ সচিব ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দফতরের সচিবকে। জেলাভিত্তিক এই কমিটিতে জুড়ে দেওয়া হবে জেলাশাসকদের। মূলত এই কমিটির অধীনেই জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণ শিবির হবে।নাগপুর থেকে প্রশিক্ষণ দিতে আসবেন ন্যাশনাল এনভায়রমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সদস্যরা।

 

Previous article‘খেলো ইন্ডিয়া’য় জোড়া সোনা বাংলার মেয়ে অ্যাডামাসের মেহুলির
Next articleতীর্থ ভ্রমণে ব্যস্ত খিলাড়ি, ভাগ্য ফেরাতে বদ্রীনাথে অক্ষয়!