২০০০-এর নোটে হয়রানি, বৈধ হলেও বাতিল করেছে বেশিরভাগ বাজারই

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজার চলতি ২০০০ টাকার নোট(2000 rupess note) এ দেশে বৈধ থাকবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের(Central Govt) পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্ত বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মে মাস থেকেই দুর্গাপুর(Durgapur) ও আসানসোলের(Asansol) বেশ কিছু বাজারে ২০০০ টাকার নোট নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু ক্রেতাকে। এমনই ছবি ধরা পড়েছে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া বাজার(Muchipara Market), আসানসোলের হটন রোড ইত্যাদি বাজারে।

এই সমস্ত এলাকাগুলিতে দোকান বাজার যেখানেই ক্রেতারা ২০০০ টাকার নোট দিচ্ছেন সব জায়গাতেই নোট নিতে অস্বীকার করছেন দোকানিরা। মুচিপাড়ায় একটি ফলের দোকানে এক ক্রেতা প্রায় ৫০০ টাকার ফল নিয়ে একটি ২০০০ টাকার নোট দেন। ফল বিক্রেতা সাফ জানিয়ে দেন ২০০০ টাকার নোট নিতে পারবেন না তিনি। কিছু ফলের দোকান, মাছ-মাংসের দোকান এবং মুদিখানা দোকানের মালিক সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা ২০০০ টাকার নোট নেবেন না। এদিকে হাতে থাকা ২০০০ টাকার নোট বাতিল না হয়েও বাতিল হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা। বিধাননগরের বাসিন্দা অসীত মুখোপাধ্যায় বাজারে এসে চরম বিপদের মধ্যেই পড়েছিলেন বলে জানাচ্ছেন তিনি। অসীত বাবু বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কিন্তু বলে নি ২০০০ টাকার নোট বাতিল। কিন্তু বিশেষ করে মুচিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা ২০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়েছেন। পানাগড় বাজারেও সেই একই চেহারা। ২০০০ টাকার নোট হাতে দেখলেই বিক্রেতারা বলছেন, কমপক্ষে ১৫০০ টাকার বেশি কেনাকাটা করলে তবেই নেওয়া হবে ২০০০ টাকার নোট, না হলে হবে না। ক্রেতারা প্রশ্ন করতেই দোকানদারের সাফ জবাব দোকানে কেন দিচ্ছেন? ব্যাঙ্কে যান বদলে দেবে! শুধু শুধু বিরক্ত করবেন না বলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ছোট ব্যবসায়ী মহঃ আরমান বলেন, প্রথমে ২০০০ টাকার নোট নিয়েই বিপদে পড়েছি, সাপ্লায়ার সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা ২০০০ টাকার নোট নেবেন না। এভাবে চললে খুব মুশকিল। ইস্পাত কর্মী গৌতম পাল বলেন, মোদি সরকার কখন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার ফলে চরম সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ২০০০ টাকার নোট আনার কী প্রয়োজন ছিল তা যদি বাজারে চালানোই না যায়! একটি কারখানায় কাজ করেন বেশ কিছু ঠিকা শ্রমিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকা শ্রমিকদের একাংশ আশঙ্কা করছেন নোট বন্দীর সময় যেভাবে তাঁদের এক হাজার টাকার নোটে বেতন দিয়েছিলেন মালিক এবারেও সম্ভবত ২০০০ টাকার নোটেই বেতন দেবেন। এদিকে বাজারে কেউই ২০০০ টাকার নোট নিচ্ছে না। যদি দেন তবে কী করবেন তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না। আবার নতুন করে নোটবন্দির সমস্যায় পড়ে বহু মানুষই এখন দিশাহারা।