অধীর চৌধুরীর (Adhir Choudhury) আত্মসমালোচনা করা উচিত। দলের একজনই বিধায়ক (MLA) তাঁকেও ধরে রাখতে পারেন না। অধীর চৌধুরীর কথা বলার মতো কোনও মুখ নেই। গর্বের সঙ্গে ২০২১ সালে শূন্য পেয়েছিলেন। আবারও কৃতিত্বের সঙ্গে শূন্যতে ফিরে গেলেন। সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে এভাবেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুণাল এদিন সাফ জানান, বায়রন খুব খোলাখুলি বলেছেন, তৃণমূলের ভোটে তিনি জিতেছেন এবং তিনি তৃণমূল পরিবারের (TMC) তাই তিনি ফিরে এসেছেন। মানুষ যা ঠিক করেছেন তাই হয়েছে। এরপরই অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করে কুণাল আরও বলেন, ২০২১ সালে সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি করার চেষ্টায় নেমে পড়ে কংগ্রেস। প্রথম থেকেই বিজেপির (BJP) যাতে সুবিধা হয়ে যায় সেই চেষ্টাই করেছে কংগ্রেস (Congress)।

উল্লেখ্য, সোমবার সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন তৃণমূলে যেতেই বিস্ফোরক দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেসের হাতে একটি মাত্র আসন ছিল, সেটিও হাত থেকে বেরিয়ে যেতে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। অধীরের অভিযোগ, মানুষের রায় ছিল, কিন্তু বায়রন মানুষের রায়কে পদাঘাত করল। নানা ধরনের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার এই পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। তৃণমূল সাগরদিঘিতে হেরে যাওয়ার পর থেকেই মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। বায়রনকে দলে ফিরিয়ে আনতে একাধিকবার চেষ্টা হয়েছে।

তবে এদিন অধীর আরও বলেন, মীরজাফরের থেকেও মানুষের সঙ্গে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বায়রন। তবে একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, বায়রনকে ভয় দেখিয়েই দলে টেনেছে তৃণমূল৷ তৃণমূলকে টার্গেট করে তাঁর মন্তব্য, বায়রন সম্পর্কে আমার আগেও কোনও খারাপ ধারণা ছিল না, এখনও নেই। পাশাপাশি আগামী দিনে বায়রনের থেকেও আরও ভালো প্রার্থী কংগ্রেস ওই এলাকা থেকে তুলে আনবে বলে জানিয়েছেন অধীর।
