Thursday, August 28, 2025

“আমি বরাবরই তৃণমূলের”: ‘হাত’ ছেড়ে সাগরদিঘির মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস বায়রনের

Date:

জয়ের পর ৩ মাসও কাটল না। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনই হাত ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করলেন সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। তাঁর হাত ধরেই ‘সাগরদিঘি মডেলের’ (Sagardighi Model) স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল বাম-কংগ্রেস (Left Congress) জোট। কিন্তু সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে নিজের পছন্দের দলে ফিরলেন বায়রন। এদিন তৃণমূলে যোগদানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাগরদিঘির বিধায়ক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। অভিষেকের পাশে বসেই সাগরদিঘির নব নির্বাচিত বিধায়ক সাফ জানান, আমার জয়ে কংগ্রেসের কোনও অবদান নেই। আমি কংগ্রেসের ভোটে জিতিনি। তবে বায়রন এদিন পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত।

পাশাপাশি এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাগরদিঘির বিধায়ক সাফ জানান, কংগ্রেসে থেকে ঠিকমতো কাজ করতে পারছিলাম না। আর সেকারণেই তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিই। পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দিয়ে আরও ভালো কাজ করার আশাপ্রকাশ করেছেন মুর্শিদাবাদের বায়রন। তবে ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই তাঁর গলায় বারবার তৃণমূলের প্রতি ভালোবাসার কথা শোনা গিয়েছিল। তিনি এদিনও তৃণমূলে যোগদানের পর জানান, আমি আসলে প্রথম থেকেই তৃণমূলের লোক। তাদের সমর্থন না পেলে আমি কখনওই এত বেশি ভোটে জিততে পারতাম না। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে বায়রন সাফ জানান, আমি বরাবরই তৃণমূল করে আসছি। তবে টিকিট পাইনি বলেই কংগ্রেসে যোগদান করি।

তবে এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সাগরদিঘির বিধায়ক সাফ জানান, আমি কোনওভাবেই বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। যদি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকি, সেটা সময় বলবে। আমার বিশ্বাস, পরে ভোট হলে আমি আরও বড় ব্যবধানে জয়ী হব। কিন্তু বায়রন সাফ জানান, আমি কংগ্রেসের ভোটে জিতিনি। আমি আগে থেকে জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাঁদের ভোটেই আমি জিতেছি। এরপরই বায়রন আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ভোট হলে আবার জিতে প্রমাণ করব যে এটা কংগ্রেসের ভোটে জয় নয়।

সোমবার এখানেই থেমে থাকেননি বায়রন। অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Choudhury) কটাক্ষ করে বায়রন সাংবাদিকদের বলেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলছেন না। আমি যতবার সুযোগ পেয়েছি তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। আর সেকারণেই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বায়রন। উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচন হয়। ওই আসনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। এরপর গত ২ মার্চ সাগরদিঘির ফলাফল ঘোষণা হয়। বায়রনের হাত ধরে সাগরদিঘিতে জয় আসে বাম-কংগ্রেসের। তবে বায়রন হাত সঙ্গ ত্যাগের পর বিধানসভায় (Assembly) ফের শূন্য কংগ্রেস।

 

 

 

Related articles

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...

অভিষেককে প্রাণনাশের হুমকি! হরিয়ানার আম্বালা থেকে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের যুবক

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। হরিয়ানার আম্বালা থেকে...
Exit mobile version