রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কীভাবে হয় তা জানতে চেয়ে এই প্রথম দুই দফতরকে চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ৮ বছরে কীভাবে নিয়োগ হয়েছে, কারা নিয়োগ প্রক্তিয়া পরিচালনা করেছেন তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে চেয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি দিল ইডি। জানা গিয়েছে, ওই দুই দফতর থেকে রিপোর্ট এলে অয়ন শীলের বাড়ি এবং অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগের দায়িত্বে ছিল এই মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। ২০১৭ সাল থেকে পুরসভাগুলিতে কীভাবে নিয়োগ হয়েছে,কোন কোন সংস্থার মাধ্যম সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, ওই সব সংস্থাকে কে বা কারা নিয়োগ করেছিল এসবই জানতে চায় ইডি।যদিও শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেই ইডি যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের খোঁজ পায়।তার বাড়ি এবং একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পূরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বহু তথ্য পেয়ে চক্ষুচড়কগাছ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সেখান থেকেই প্রকাশ্যে আসে যে বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৬০ টি পুরসভায় অয়নের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পাঁচ হাজারেরও বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে গত কয়েক বছরে।
এরপর ইডির হাতে গ্রেফতার হন অয়ন।পুরনিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পুরানো নির্দেশই বহাল রাখেন।