শুক্রবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আপাতত উদ্ধারকাজ শেষ করে লাইন মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে রেল। রবিবার সকাল পর্যন্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে,কতদূর এগোল উদ্ধারকাজ। দ্রুত রেল পরিষেবা স্বাভাবিকের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন:৩৬ ঘণ্টা পার! চলছে উদ্ধারকাজ!বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

আজ সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে মেরামতির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরাগুলি লাইনের উপর থেকে সরানো গিয়েছে। কামরা মেরামতির কাজ চলছে। সেই সঙ্গে সমান্তরালেই চলছে রেললাইন সারানোর কাজও।রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে, খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লাইন মেরামতির কাজে নজরদারি চালাচ্ছেন।
রেল জানিয়েছে, শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যে ২১টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল বা লাইনের উপর আটকে ছিল, সেগুলি আপাতত সরানো হয়েছে। ভেঙে যাওয়া কামরার যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, চাকা ইত্যাদি এখন দুর্ঘটনাস্থল থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কাজ করছে রেলের তিনটি মালগাড়ি এবং ক্রেন। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব এলাকা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে ওই এলাকার রেললাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই লাইন সংযোগের কাজও চলছে জোরকদমে। বুধবারের মধ্যে লাইন মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ শেষ করে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

শনিবার রাতেই বালেশ্বরে পৌঁছয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিধায়ক অসিত মিত্র, মধ্য কলকাতা জেলা সভাপতি সুমন পাল, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা কৃষ্ণা দেবনাথ এবং প্রীতম ঘোষ। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা যোশী।রেলের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো না হওয়ার জেরেই এহেন ঘটনা বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ জানান হয়।
