শত চেষ্টা করেও লাভ হল না! হাই কোর্টের নির্দেশে ববিতার সুপারিশ পত্র বাতিল SSC-র

গত বছরের ২৪ জুলাই ঘটনার সূত্রপাত। পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ ‘বেআইনি’ বলে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার।

অনেক কষ্ট করেও লাভের লাভ কিছুই হল না। অবশেষে ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) সুপারিশ পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল এসএসসি (SSC)। আর এই সুপারিশ পত্র বাতিলের অর্থ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর নিয়োগও বাতিল করা হবে। তবে সুপারিশ বাতিল করায় খাতায় কলমে আর শিক্ষক (Teacher) রইলেন না ববিতা। যদিও, কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের (Single Bench) এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) দ্বারস্থ হন ববিতা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ জুলাই ঘটনার সূত্রপাত। পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ ‘বেআইনি’ বলে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁর চাকরি অঙ্কিতা ক্ষমতার বলে দখল করেছে। এরপরই আদালতে ববিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় অঙ্কিতার। এরপর হাই কোর্টের নির্দেশেই সেই জায়গায় চাকরি পান ববিতা। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতার ৪৩ মাসের বেতনের টাকাও ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। এরপর ববিতা চাকরি পাওয়ার পরই তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই পদের অন্যতম দাবিদার অনামিকা রায়। তাঁর বক্তব্য, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ নয়। অথচ তিনি ৬০ শতাংশ লেখেন ফর্মে। যে কারণে ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে যায়। তবে ববিতার থেকে নম্বর বেশি অনামিকার। যার কারণে ফের শুরু হয় মামলা। এরপর গত ১৬ মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি যায় ববিতার। যোগ্য হিসাবে চাকরি পান অনামিকা। হাই কোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ববিতা। সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে।

 

 

 

Previous articleকবে কোর্টে ফিরবেন নাদাল? অস্ত্রোপচারের পর জানালেন নিজেই
Next article৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে নস্টালজিয়ায় অমিতাভ – জয়া