উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চাকরি থেকে বরখাস্তের জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মাদ্রাজ হাইকোর্ট

গালিগালাজ করা বা উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, চাকরি থেকে বরখাস্তের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নাও হতে পারে।মঙ্গলবার একটি মামলার রায়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ।বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন এবং আর কালাইমাথির ডিভিশন বেঞ্চ হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের (এইচইউএল) মালিকানাধীন চা কোম্পানি থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যের দায়ের করা মামলায় এই রায় দিয়েছে।

জানা গিয়েছে,২০০৯ সালে ওই সদস্য এস রাজা তার ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্যকে তার জামার কলার ধরে টেনেছিলেন বলে অভিযোগ।তদন্তের পর রাজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারপরে তিনি একটি শ্রম আদালতের কাছে যান, যেখানে তাকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এরপর হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারক শ্রম আদালতের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন। এরপরে রাজা ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন।তার আপিলের অনুমতি দেওয়ার সময়, বেঞ্চ বলেছিল যে শাস্তি আরোপ করার সময়, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে, একজন কর্মচারীর অতীত রেকর্ড কেমন।আদালত আরও বলেছে যে শ্রম আদালতকে শাস্তিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটাও নজর রাখতে হবে।

আদালত আরও বলে, তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন আচরণ করতে কে প্ররোচিত করেছিল সেটা দেখা উচিত ছিল। একজন শ্রমিকের আকস্মিক উস্কানির মূল কারণ কে ছিল, সেটাও দেখা দরকার ছিল। শ্রম আদালতের পর্যবেক্ষণের অর্থ এই নয় যে আমরা ন্যায্যতা প্রমাণ করি কর্মচারীর কাজ এবং তার অসদাচরণ দেখে।ডিভিশন বেঞ্চ শ্রম আদালতের আদেশ আংশিকভাবে সংশোধন করেন।সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজাকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

 

 

Previous article‘আদিপুরুষ’-এর স্ক্রিনিংয়ে হনুমানের জন্য বরাদ্দ আসন!
Next articleঅভিযোগের পরও নিষ্ক্রিয় যোগীর পুলিশ, হতাশায় আত্মঘা.তী ধর্ষি.তার বাবা