কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে পাষণ্ডরা। থানায় অভিযোগ জানিয়েও ফল কিছু হয়নি। পুলিশের(Police) তরফে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক সব জেনেও আইনের রক্ষকদের কাছ থেকে জুটেছে অপমান। গত দু’মাস ধরে থানার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে শেষে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করলেন বাবা। সোমবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে(Uttar Pradesh)। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ‘বুলডোজার বাবা’র ডবল ইঞ্জিনের উত্তরপ্রদেশের ভয়াবহ ছবিটা।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের জালৌন এলাকার আকোধি গ্রামে কয়েকজন মিলে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে খুন করা হবে তাঁকে। মেয়েটির বাকা কর্মসূত্রে পাঞ্জাবে থাকেন। তিনি বাড়ি এলে তাঁকে সবটা জানায় মেয়ে। এরপর মেয়েকে নিয়ে থানার দ্বারস্থ হন পিতা। যদিও পুলিশ সে অভিযোগ কানে তোলেনি, উল্টে মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত ২ মাস ধরে থানায় থানায় ঘুরে হতাশায় গলায় দড়ি দেন অভিযোগকারী বাবা। মেয়েটির বাবার মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় বাবার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর চাপে পড়ে তৎপর হয় উচ্চপদস্ত পুলিশকর্তারা।
মেয়েটির বাবার মৃত্যুর পর জালৌনের এএসপি অসীম চৌধরি সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের শান্ত করেন। এবং জানান গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে। দোষীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করবে পুলিশ।