দুদিন আগেও আদালতে আইনজীবী মারফত তার অভিযোগ ছিল , অপরাধ মেনে নেওয়ার জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি। পাল্টা অভিযোগ ছিল ইডির, তাদের তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি, পরস্পর দোষারোপের মধ্যেই ধীরে ধীরে ইডির জেরায় কি ক্রমশ নরম হচ্ছেন ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র’? জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট নিয়ে আগে যেখানে সুজয়কৃষ্ণের উত্তর ছিল, ‘জানি না, বলতে পারব না’। এখন সেখানে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাধিক সংস্থার নিয়ন্ত্রণের কথাও তিনি কবুল করেছেন বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

টানা ১২ ঘণ্টা জেরার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু তদন্তে তিনি অসহযোগিতা করছেন বলেই জানা যাচ্ছিল এ যাবৎ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেরার মুখে ভেঙ্গে পড়েন তিনি । ইডি-র লাগাতার জেরার মুখে ২০১৮ সালেও মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ।

জানা গিয়েছে, এখন কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ। সুজয়কৃষ্ণের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মানিককে চেনেন কিনা। এর উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ২০২১-এর আগে চিনতাম না। এর পরের থেকে চিনি। তখন, মোবাইলের একটি চ্যাট হিস্ট্রি দেখানো হয় ‘কাকু’কে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮-এ দু’জনের কথা হয়েছে। এরপর আর প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যেতে পারেন নি তিনি। ইডি সূত্রে দাবি, ওয়েলথ্ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড, আর্কাইভ কনসালটেন্সি এবং এসডি কনসালটেন্সি এই তিন কোম্পানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথাও স্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে, এ সরকার, অ্যাসোসিয়েট সরকার এন্টারপ্রাইজেস এবং নয়নিকা এন্টারপ্রাইজেস নামে আরও ৩টি কোম্পানির সঙ্গে যোগসূত্র অস্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ।

এদিকে সদ্য বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষ এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁর ওপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু এমন কোনও চাপ আসছে কিনা জানতে চাইলে, ‘সুজয়কৃষ্ণ’ বলেন, ‘না’।

ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণের আত্মীয়-স্বজন এবং বিভিন্ন কোম্পানি মিলিয়ে আরও অন্তত ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এবার সুজয়কৃষ্ণর আত্মীয়-পরিজনদের সম্পত্তির তালিকাও তৈরি করছে ইডি।
