জল্পনার অবসান, মিয়ামিতে যাচ্ছেন মেসি

মেসির আমেরিকান মেজর সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী চলা সব আলোচনা, জল্পনা-কল্পনার।

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন লিওনেল মেসি। বুধবার (৭ জুন) প্যারিসে তার বাড়িতে দুটি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মেসির আমেরিকান মেজর সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী চলা সব আলোচনা, জল্পনা-কল্পনার।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তো ও মুন্দো দেপোর্তিবোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, আমি বার্সেলোনায় ফিরছি না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মিয়ামিতে যাচ্ছি।

এরই মধ্যে পিএসজি অধ্যায় শেষ হয়েছে মেসির। পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গত শনিবারই। ৩০ জুন পর্যন্ত কাগজে-কলমে পিএসজির খেলোয়াড় ছিলেন মেসি। পিএসজি ছাড়ার আগেই মেসিকে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল বড় বড় ক্লাবগুলো।

এর মধ্যে ছিল তার পুরোনো ঠিকান বার্সেলোনা। এছাড়া আর্জেন্টাইন এ সুপার স্টারকে পেতে বছরে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল।
এর আগে ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ইচ্ছার কথাও জানান মেসি। বার্সেলোনায় যেতে চান বলে সৌদি ক্লাবটিকে আরও একটি বছর অপেক্ষা করতেও বলেন। তবে বার্সা বা আল হিলাল- কারও আশাই পূর্ণ হলো না। মাঝখানে বাজির ঘোড়া জিতে নিলো ইন্টার মিয়ামি।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আল নাসেরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মেসিকে পেতে ঝাঁপিয়েছিল আল হিলাল। অন্য দিকে, বার্সেলোনাও মেসিকে ফিরে পেতে আগ্রহী ছিল। বার্সা সভাপতি নিজে উদ্যোগী হয়েছিলেন। মেসির বাবা তথা এজেন্ট জর্জ মেসির সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করেছেন। নিজের পুরনো ক্লাবকে নাকি ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন লিয়ো। মেসিকে চাইলেও তাঁর দাবি মতো টাকার ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না বার্সা সভাপতি। সৌদির ক্লাবটির টাকার সমস্যা ছিল না। সৌদির পর্যটন দফতরের প্রচার দূতও তিনি। তবু, রোনাল্ডোর সঙ্গে পুরনো দ্বৈরথের সম্ভাবনা ফুটবলার মেসিকে আকৃষ্ট করল না।