মাঝরাতে জেএনইউ ক্যাম্পাস থেকে দুই ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্নের মুখে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা। পাশাপাশি, রাজধানীর নারী সুরক্ষা নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে দুই ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই কাজে ব্যর্থ হয় অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ১টা নাগাদ ক্যাম্পাসের মধ্যের রাস্তায় হাঁটছিলেন ওই দুই ছাত্রী। তখনই আচমকা একটি গাড়ি এসে জোর করে তাঁদের তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও চিৎকার করে ওঠেন ওই দুই তরুণী।
ওই চিৎকার শুনেই তিনজন পড়ুয়া ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। চলন্ত গাড়ি থেকে হ্যাঁচকা টান মেরে ওই দুই জনকে নামিয়ে ফেলেন তাঁরা। এর পর গাড়িটিকে ধাওয়া করেন ওই তিনজন। তখন গতি বাড়িয়ে ক্যাম্পাস থেকে চম্পট দেয় ওই গাড়ি।

উদ্ধারকারী ছাত্ররা জানিয়েছেন, চলন্ত গাড়ি থেকে টেনে নামানোর জেরে ওই দুই ছাত্রী সামান্য চোট পান। পরের দিনই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগকারিণীদের দাবি, অপহরণকারীরা একটি সাদা রঙের সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে ছিল। গাড়ির নম্বর হরিয়ানার বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় দু’টি পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। সেখানে শারীরিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার ধারার উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা।দেশের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বরাবরই থেকেছে জেএনইউ। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তির মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য।

তদন্তে কী কী বিষয় জানাতে হবে, তাও স্পষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। রাত ১টা নাগাদ কী ভাবে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকল গাড়ি? রাতের বেলা কোন কোন গেট খোলা ছিল? পাশাপাশি, ওই রাতে দুই ছাত্রী কোথায় যাচ্ছিলেন? এই বিষয়গুলি জানাতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।অন্যদিকে, এই ঘটনায় দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ।
