বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বি.স্ফোরক চিঠি বিশ্বের ৩০২ জন অধ্যাপক-শিক্ষাবিদদের!

মোদি সরকারের বিরোধিতা করার কারণেই দেশের গর্ব নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) অপমান করছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য বজায় রাখতে এখনই ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক- এই আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) চিঠি দিলেন বিশ্বের প্রথিতযশা অধ্যাপক এবং শিক্ষাবিদরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ আর্জি করে চিঠি পাঠানো হল।

শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। তিনি কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির সমর্থক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তিনি এসব করছেন। জানিয়ে বিশ্বভারতীতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়ে অবিলম্বে দ্রৌপদী মুর্মূর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শিক্ষাবিদরা। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক জর্জ ই একারলোফ, লেডি ব্রেবোন কলেজের অধ্যাপিকা অর্পিতা ভট্টাচার্য, ব্রিটেনের ডারহাম ইউনিভার্সিটির বিভাস সাহা, আমেরিকার বোস্টন কলেজের চার্লস ডাবার, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, বিশ্বভারতীয় আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ বিশিষ্টরা।

চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেআইনি ভাবে পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করেছেন উপাচার্য। অবৈধভাবে ফ্যাকাল্টি, আধিকারিক এবং অন্য কর্মীদের চাকরি কেড়ে নেওয়া, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন বিদ্যুৎ। তাঁর আমলেই কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিশ্বভারতীকে নিয়ে অগণিত মামলা জমা পড়েছে। উপাচার্যের সাম্প্রতিকতম টার্গেট বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ভারত রত্ন অমর্ত্যকে অশালীন ভাষায় একাধিক চিঠি পাঠিয়েছেন বিদ্যুৎ। কোনও প্রমাণ ছাড়াই অমর্ত্য বেআইনি ভাবে বিশ্বভারতীর জমি দখল করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের NDA সরকারের থেকে অমর্ত্যের আদর্শ আলাদা বলেই তাঁকে উপচার্য হেনস্থা করছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- পোশাক ফতোয়া না মানায় এবার চাকরি গেল শিক্ষিকার! তারপর?

Previous articleপোশাক ফতোয়া না মানায় এবার চাকরি গেল শিক্ষিকার! তারপর?
Next articleআদানি-আম্বানির কি টাকা নেই? সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন সুজয়কৃষ্ণ