Friday, May 23, 2025

ঘরের ভেতর দম্পতির প*চা গ*লা দে*হ ,পাশে জীবিত চার বছরের শিশু! তাজ্জব পুলিশ

Date:

Share post:

তিনদিন ধরে বাড়ির বাইরে কেউ বের হননি।দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশিরা। পুলিশ এসে তালা ভেঙে তাজ্জব। দেখেন, ঘরের ভিতরে পাশাপাশি পড়ে আছে স্বামী-স্ত্রীর পচা-গলা দেহ। আর তার পাশেই জীবিত অবস্থায় আছে মাত্র ৪ দিন বয়সী এক নবজাতক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে। মৃত দম্পতির নাম কাশিফ এবং আনম ।

জানা গিয়েছে, তাদের আদি বাড়ি
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার চাহলোলিতে। দেরাদুনের ওই বাড়িটিতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন। স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এটি খুন না কোনও কারণে দম্পতি একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মেঝেতে পাশাপাশি পড়ে ছিল আনম এবং কাশিফের দেহ। দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। আর ঘরের মেঝেতে জমাট বেঁধে ছিল প্রচুর রক্ত। এরপর পুলিশের চোখ গিয়েছিল ঘরের অন্য প্রান্তে। সেখানে নেতিয়ে পড়ে ছিল একটি ৪-৫ দিনের নবজাতক। পুলিশ প্রথমে মনে করেছিল, শিশুটিরও মৃত্যু হয়েছে। পরে দেখা যায় সে বেঁচে আছে ঠিকই, কিন্তু, বেশ কয়েকদিন অভুক্ত থাকায় মৃতপ্রায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য দুন হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।প্রাথমিক তদন্তের পর ফরেনসিক দল জানিয়েছে, আমন এবং কাশিম – কারও দেহেই কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তাহলে ঘরে যে জমাট বাঁধা রক্ত পড়ে রয়েছে, তা কোথা থেকে এল? এই বিষয়টি পুলিশ এবং ফরেনসিক দলের কাছে এখনও রহস্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এই রহস্যজনক জোড়া মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তাতে এই রহস্যের জাল অনেকটাই কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রহস্যের সমাধানে, কাশিফদের প্রতিবেশী এবং তার বাড়ির লোকজনদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাস চারেক আগেই ওই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন কাশিফ ও তার স্ত্রী আনম। বাড়িটির মালিক সোহেলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, কাশিফের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, আনমের আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম স্ত্রী নুসরত তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন। নুসরতের সঙ্গেও ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে পুলিশ।তিনি জানিয়েছেন, কাশিফ এবং আনমের বিয়ে হয়েছিল এক বছর আগে। তারপর থেকেই তিনি আলাদা থাকেন। কাশিফের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল ১০ জুন রাত ১১টা নাগাদ। কাশিফ তাঁকে জানিয়েছিল, ১১ জুন তিনি চাহলোলির গ্রামে ফিরবেন। একজনের থেকে তিনি ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন, সেই টাকা ফেরত দিতে যাবেন। তাই নুসরতকে ওই দিন গ্রামের বাড়িতে আসতে বলেছিল সে। কিন্তু, ১১ জুন কাশিফ গ্রামে ফেরেনি, তারপর থেকে নুসরতের ফোনও ধরেননি। এমনকি, তাদের দেরাদুনের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। তালাবন্ধ দেখে ফিরে এসেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এই জোড়া মৃত্যু রহস্য নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।

spot_img

Related articles

ভাতা পাবেন চাকরিহারা গ্রুপ সি,ডি কর্মীরা: জারি বিজ্ঞপ্তি

চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল শ্রম দফতর (Department of Labour)।...

জাপান সংসদের স্পিকারকে বাংলায় আমন্ত্রণ: দুদিনের সফর শেষে জানালেন অভিষেক

ভারতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী শক্তিকে দমন করতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সমর্থন আদায়ে উদ্যোগী ভারত। মিত্র দেশগুলিতে ভারতের...

ফসল নষ্ট হওয়া রুখতে সৌরশক্তি চালিত কোল্ড চেন ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রাজ্যের

কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়া রুখতে সৌরশক্তি চালিত কোল্ড চেন (Cold Chain) ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।...

পুলিশ মহলে উৎসাহ জোগাবে: এভারেস্ট জয়ী দেহরক্ষী লক্ষ্মীকান্তকে অভ্যর্থনা CP মনোজ বর্মার

মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে কলকাতা পৌঁছালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী লক্ষীকান্ত মণ্ডল (Lakkhikanta Mandol)। লক্ষ্মীকান্তকে অভ্যর্থনা জানাতে শুক্রবার...