ঘরের ভেতর দম্পতির প*চা গ*লা দে*হ ,পাশে জীবিত চার বছরের শিশু! তাজ্জব পুলিশ

তিনদিন ধরে বাড়ির বাইরে কেউ বের হননি।দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশিরা। পুলিশ এসে তালা ভেঙে তাজ্জব। দেখেন, ঘরের ভিতরে পাশাপাশি পড়ে আছে স্বামী-স্ত্রীর পচা-গলা দেহ। আর তার পাশেই জীবিত অবস্থায় আছে মাত্র ৪ দিন বয়সী এক নবজাতক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে। মৃত দম্পতির নাম কাশিফ এবং আনম ।

জানা গিয়েছে, তাদের আদি বাড়ি
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার চাহলোলিতে। দেরাদুনের ওই বাড়িটিতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন। স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এটি খুন না কোনও কারণে দম্পতি একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মেঝেতে পাশাপাশি পড়ে ছিল আনম এবং কাশিফের দেহ। দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। আর ঘরের মেঝেতে জমাট বেঁধে ছিল প্রচুর রক্ত। এরপর পুলিশের চোখ গিয়েছিল ঘরের অন্য প্রান্তে। সেখানে নেতিয়ে পড়ে ছিল একটি ৪-৫ দিনের নবজাতক। পুলিশ প্রথমে মনে করেছিল, শিশুটিরও মৃত্যু হয়েছে। পরে দেখা যায় সে বেঁচে আছে ঠিকই, কিন্তু, বেশ কয়েকদিন অভুক্ত থাকায় মৃতপ্রায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য দুন হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।প্রাথমিক তদন্তের পর ফরেনসিক দল জানিয়েছে, আমন এবং কাশিম – কারও দেহেই কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তাহলে ঘরে যে জমাট বাঁধা রক্ত পড়ে রয়েছে, তা কোথা থেকে এল? এই বিষয়টি পুলিশ এবং ফরেনসিক দলের কাছে এখনও রহস্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এই রহস্যজনক জোড়া মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তাতে এই রহস্যের জাল অনেকটাই কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রহস্যের সমাধানে, কাশিফদের প্রতিবেশী এবং তার বাড়ির লোকজনদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাস চারেক আগেই ওই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন কাশিফ ও তার স্ত্রী আনম। বাড়িটির মালিক সোহেলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, কাশিফের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, আনমের আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম স্ত্রী নুসরত তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন। নুসরতের সঙ্গেও ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে পুলিশ।তিনি জানিয়েছেন, কাশিফ এবং আনমের বিয়ে হয়েছিল এক বছর আগে। তারপর থেকেই তিনি আলাদা থাকেন। কাশিফের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল ১০ জুন রাত ১১টা নাগাদ। কাশিফ তাঁকে জানিয়েছিল, ১১ জুন তিনি চাহলোলির গ্রামে ফিরবেন। একজনের থেকে তিনি ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন, সেই টাকা ফেরত দিতে যাবেন। তাই নুসরতকে ওই দিন গ্রামের বাড়িতে আসতে বলেছিল সে। কিন্তু, ১১ জুন কাশিফ গ্রামে ফেরেনি, তারপর থেকে নুসরতের ফোনও ধরেননি। এমনকি, তাদের দেরাদুনের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। তালাবন্ধ দেখে ফিরে এসেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এই জোড়া মৃত্যু রহস্য নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।

Previous articleথাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী, মানুষের ভোটে গতবারের থেকেও ভালো ফল করবে তৃণমূল: অভিষেক
Next articleহাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে কমিশন: রাজীব সিনহা