ববিতার মন্তব্য, নাবালিকার বাবার বয়ান: সাঁড়াশি চাপে আন্দোলনরত কুস্তিগিররা

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে হে.নস্থার অভিযোগ এনেছিলেন ওই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশও ব্রিজভূষণকে পকসো ধারায় অভিযুক্ত করে।

কুস্তিগিরদের ওপর যৌ.ন হে.নস্থার অভিযোগে কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ সিং-এর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে বসেছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটরা। তবে এবার একদিকে আক্রান্ত নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবার বয়ান, ওপর দিকে সতীর্থ ববিতা ফোগাটের মন্তব্য। এই দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে কিছুটা কোনঠাসা আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। এক নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের ওপর যৌ.ন হে.নস্থা হয়নি। এরপরই চাপের কারণে তিনি অভিযোগ বদল করেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা। তিনি জানিয়েছেন চাপের কারণে তিনি বয়ান বদল করেননি। কেউ তাকে চাপ দেননি। অন‍্যদিকে ববিতা ফোগাট জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের রাজনৈতিকভাবে ব‍্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর নিশানায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের হাতে পুতুল সাক্ষীরা।

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন ওই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশও ব্রিজভূষণকে পকসো ধারায় অভিযুক্ত করে। কিন্তু দিন কয়েক আগেই সেই বয়ান বদল করেন ওই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা। আর এরপরই দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো মামলা বাতিলের সুপারিশ করে। এই নিয়ে আন্দোলনকারী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক বলেন, নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই তাঁরা বয়ান বদল করেছেন। আর এদিন সেই নিয়ে মুখ খুললেন সেই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা।

রবিবার এক ওয়েবসাইটে ওই নাবালিকার বাবা বলেন,”আমাদের যা করা উচিত ছিল সেটাই করেছি। আমাদের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্যি নয়।”

এদিকে কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন সাক্ষী মালিক এবং ববিতা ফোগাট। যেখানে রং নিয়েছে রাজনীতির। সাক্ষীর অভিযোগ, নিজের স্বার্থ মেটাতে কুস্তিগিরদের ব্যবহার করছেন বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগাট। পাল্টা ববিতা বলেন, সাক্ষী কংগ্রেসের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন।

শনিবার একটি ভিডিও বার্তায় ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাক্ষী ও তাঁর স্বামী। সেখানে সাক্ষী বলেন,” আমি প্রথমেই স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমাদের আন্দোলনের মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। জানুয়ারি মাসে আমরা যন্তর মন্তরে গিয়েছিলাম। সেই সময় দুই বিজেপি নেতা-নেত্রী তীর্থ রানা ও ববিতা ফোগাটই ধর্নার অনুমতি আদায় করেছিল। প্রথমে নিজেদের স্বার্থে ওরা কুস্তিগিরদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে বিপদ বুঝে সরকারের কোলে গিয়ে বসে পড়ল। আমাদের আন্দোলনে কংগ্রেসের কোনও হাত নেই।”

সাক্ষীর এই অভিযোগের পরই পাল্টা মুখ খোলেন ববিতা। তিনি বলেন,” আমি প্রথম দিন থেকে বলে আসছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের আইনের উপর আমার ভরসা রয়েছে। মহিলা হিসাবে মহিলাদের লড়াইয়ে আমি সব সময় পাশে রয়েছি। কিন্তু যে ভাবে ওরা সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন মিছিল করল বা গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দিতে গেল সেটা আমি মেনে নিইনি। এতে দেশেরই অসম্মান করা হয়েছে। ওদের বার বার বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তা হলেই সমাধান বার হত।”

আরও পড়ুন:প্রকাশিত রঞ্জি ট্রফির সূচি, শুরু ৫ জানুয়ারি থেকে

 

 

Previous articleপরিবেশ বাঁচাতে এবার সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার করবে মেট্রো
Next articleপঞ্চায়েত ভোটের জের, পিছিয়ে গেলো পুলিশের পদোন্নতি সংক্রান্ত পরীক্ষা